এমন সুযোগ বারবার আসে না। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, খুব তাড়াতাড়ি কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিদর্শনের অনুমতি পাবেন পর্যটকরা। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তারা সম্প্রতি কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরখা বরাবর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সম্মান করার জন্য গত বছর উভয় দেশের সামরিক অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতির সীমান্তের দুপাশে বসবাসকারী মানুষের জীবন অনেকটা স্বাভাবিক ছন্দে আসতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, করোনার আতঙ্কের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই গত বছর থেকে কাশ্মীরের অফবিট জায়গাগুলিতে ভ্রমণের আগ্রহ দেখাচ্ছেন পর্যটকরা। সরকারি আধিকারিকদের মতে, পর্যটকদের চাহিদামত সীমান্তবর্তী জেলা যেমন বান্দিপোরা, কুপওয়ারা, বারামুল্লা, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিস্তৃত এলাকাগুলিতে বিপুল পরিমাণে পর্যটনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পর্যটন বিভাগের আধিকারিকরা বান্দিপোরা, কুপওয়ারা ও বারামুল্লার জেলা উন্নয়ন কমিশনারের কাছে সীমান্ত পর্যটনের এই অভিনব প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটন বিভাগ সূত্র অনুযায়ী কর্নাহ, গুরেজ, উরি, বাংগাস ভ্যালির মতো অসাধারণ জায়গায় বর্ডার ট্যুরিজম শুরু করতে আগ্রহী হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগস্টেই কুপওয়ারা জেলার বাংগাস উপত্যকায় একটি ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, পর্যটন বিভাগ ও সেনাবাহিনী, যৌথ উদ্দ্যোগে এই ধরনেক দুর্গম স্থানগুলিতে ভ্রমণের সুবিধার্থে যতটা সম্ভব প্রচেষ্টা চালাবে।