Ind-Pak Travel: এবার পাকিস্তানের হিন্দু তীর্থকেন্দ্রগুলিতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হোক, প্রস্তাব দিল্লির
গত বছর কর্তারপুর করিডর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পর থেরেই পাকিস্তানের অন্যান্য বিখ্যাত মসজিদ ও হিন্দু মন্দিরগুলিতে তীর্থ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে কি এবার ঠান্ডা স্রোত বইতে শুরু করেছে! দুই দেশের তীর্থযাত্রীদের জন্য এবার দারুণ খবর। কারণ এবার দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এবার ধর্মীয় স্থান ও ভ্রমণের পদ্ধতিকে সহজ করার আগ্রহী দেখিয়েছেন ভারত-পাকিস্তান। অর্থাত্, উভয় দেশের দর্শণার্থীরা নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানগুলিতে পরিদর্শন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে উঠবে। এই পরিস্থিতিতে ধর্মীয় স্থানগুলিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইসলামাবাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে দিল্লি।
প্রসঙ্গত উভয় দেশের তীর্থযাত্রীদের বিশেষ অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি প্রোটোকল রয়েছে। তবে সেইসব তীর্থক্ষেত্রের সংখ্যা নিতান্তই কম। তাই সেই সংখ্যার তালিকা বৃদ্ধি করার জন্য একটি নয়া প্রস্তাবও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে ভারত একটু বেশিই পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে চাইছে। পাকিস্তানের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে প্রস্তুত। অন্যদিকে পাকিস্তানের সাংবাদিক রিপোর্ট বলছে, দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্ত করতে পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিল করাচি থেকে জয়পুরে ১৬০জন পাক হিন্দু তীর্থযাত্রীকে বিমান পরিষেবা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে নন-ক্লিয়ারেন্স-র জন্য এই সফর স্থগিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে বাগচি জানিয়েছেন, এই যৌথ প্রোটোকল নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর কোনও আলোচনায় বসেনি ভারত-পাকিস্তান। এবার তা স্বাভাবিকভাবে আলোচনায় বসা উচিত। তাঁর কথায়, ‘এই বিষয়ে ভারত একটি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী। কোভিড অতিমারির পরিপ্রেক্ষিতে জমায়েত ও বিধি-নিষেধ জারি করা হলেও সচেতন থাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আশা করি যে আলোচনা করার জন্য ব্যবহার করা দরকার।’
প্রসঙ্গত প্রতি বছরই পাকিস্তান থেকে বহু হিন্দু ও শি্খ সম্প্রদায়ের মানুষ এই দেশের তীর্থস্থানগুলিতে পরিদর্শনের জন্য আসেন। অন্যদিকে পাকিস্তান সীমান্তে বিখ্যাত গুরুদ্বার, মন্দির ও মসজিদ রয়েছে, যেগুলি ভারতীয় শিখ, মুসলিম ও হিন্দুরা সেখানে যান। তবে আশার আলো এই যে আগামী সপ্তাহেই ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের সরকারি আধিকারিকরা দর্শনার্থীদের তীর্থযাত্রা নিয়ে বৈঠক করতে পারেন। গত বছর কর্তারপুর করিডর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পর থেরেই পাকিস্তানের অন্যান্য বিখ্যাত মসজিদ ও হিন্দু মন্দিরগুলিতে তীর্থ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। দুদেশের পূর্ণ্যাথীদের জন্য ২০ টি তীর্থকেন্দ্র ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া জন্যও আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Puri Jagannath temple: পূণ্যার্থীদের জন্য সুখবর! ২১ দিন পর ফের খুলছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা