চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোয় শুরু হতে চলেছে ৪৮তম খাজুরাহো নৃত্য উৎসব। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল মঙ্গুভাই সি. প্যাটেল এই উৎসবের সূচনা করবেন। ওইদিন উপস্থিত থাকবেন অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যথা পর্যটন, সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী উষা ঠাকুর, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ দপ্তরের মন্ত্রী ওমপ্রকাশ সকলেচা, সাংসদ বিষ্ণু দত্ত শর্মা।
২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেশের মধ্যে অন্যতম অনুষ্ঠান হল খাজুরাহো নৃত্য অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভিন্ন ভিন্ন নৃত্যকলা প্রদর্শিত হয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পীরা তো বটেই এমনকী বিদেশের কলাকুশলীরাও নৃত্যকলা উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে যোগ দেন এই বিখ্যাত অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পীদের ‘কালীদাস’ ও ‘মধ্যপ্রদেশ রাজ্য রূপঙ্কর কলা’ পুরস্কারেও ভূষিত করা হয়।
খাজুরাহোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য অনস্বীকার্য। প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটকের সমাগম ঘটে খাজুরাহোয়। মন্দিরঘন এই শহরের সহজাত সৌন্দর্যই হল দেবালয়ের দেওয়ালে গড়ে ওঠা নানা ভাস্কর্য। বহু যুগ আগে ভাস্করের বাটালি, ছেনি পাথরের গায়ে পিছলে গিয়ে ছাপ ফেলেছিল নরনারীর প্রেম ও সংসর্গের। মুখের কথা হারিয়ে যায় সেসব ভাস্কর্যের সূক্ষ্ম সৌন্দর্য অবলোকনে। প্রস্তর কুরে গড়ে তোলা সেসব মূর্তিতে যেন আদিম নৃত্যেরই ছন্দ মিশে থাকে। ফলে এহেন আদিম শহরে নৃত্যঅনুষ্ঠান যে আলাদা গৌরব বহন করে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চলতি বছরে অনুষ্ঠানে বেশ কিছু আরও বিষয় রাখা হয়েছে যা উল্লেখ করা দরকার। এবারে কত্থক নৃত্য ও তার ইতিহাস, সেই সম্পর্কিত শিল্প নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া কত্থক নিয়ে বক্তব্য রাখবেন বিশিষ্ট শিল্পী ও শিল্পবোদ্ধারা। শিল্পপ্রেমীরা অবশ্যই এই উৎসবে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: Gangani: দেশের একমাত্র ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ রয়েছে এই রূপসী বাংলাতেই! কম খরচে ঘুরে আসুন এখানে