AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gangani: দেশের একমাত্র ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ রয়েছে এই রূপসী বাংলাতেই! কম খরচে ঘুরে আসুন এখানে

কলোরাডোর জায়গায় শিলাই নদী। বলা যেতে পারে মার্কিন দেশের বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মিনিয়েচার ভার্সন। কলকাতা থেকে ১৭৮ কিমি দূরত্ব। গাড়িতে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক লাগবে।

Gangani: দেশের একমাত্র 'গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন' রয়েছে এই রূপসী বাংলাতেই! কম খরচে ঘুরে আসুন এখানে
ছবি সৌজন্য অ্যাডব স্টক
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2022 | 12:59 PM
Share

ডিজিটাইলেশন যুগে বাস করলেও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য থেকে কিন্তু নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা দায়। কোলাহলপূর্ণ শহরগুলিতে বসে আমরা প্রকৃতির রোমাঞ্চকর ও অবিশ্বাস্য সব দৃশ্য মিস করে যাই। শহরের সীমা ছাড়িয়ে বিভিন্ন প্রান্তের প্রাণবন্তকর প্রকৃতির হাতছানিকে আমরা এড়িয়ে চলে যাই, অজান্তেই।

বিদেশে কী কী রয়েছে, সাত সমুদ্র তীরে প্রকৃতিতে আমরা বেশি সুন্দর বলে ভুল করি। আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্য়ানিয়নের নাম বিশ্ববিখ্য়াত। ভাবছেন, এমনটা যদি এদেশের মাটিতেও পাওয়া যেত, তাহলে স্বপ্ন সফল হত। সেই ইচ্ছাও পূরণ করে দিয়েছে এই বাংলার মাটি। পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতার কাছেই অবস্থিত গনগনি। লাল ও গেরুয়া মাটির নানান ভাস্কর্যের অপূর্ব দৃশ্য আপনাকে আমেরিকার অ্যারিজোনার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে, একলহমায়। সেই একই রকম পরিবেশ। কলোরাডোর জায়গায় শিলাই নদী। বলা যেতে পারে মার্কিন দেশের বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মিনিয়েচার ভার্সন। কলকাতা থেকে মাত্র ১৭৮ কিমি দূরত্ব। গাড়িতে ঘণ্টা দুয়েক লাগবে।

বর্ষার সময় শিলাবতী নদী এই ৭০ ফুট গিরিখাত দিয়ে বয়ে যায়। কিন্তু বর্ষা শেষ হলে জল নেমে গিয়ে গিরিখাতের আসল সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। সেই সময় নদীর কোথাও হাঁটু জল আবার কোথাও কোমড় পর্যন্ত। বেণীর মতো এঁকেবেঁকে চলা নদীর দুই পাড়েই আগুন রাঙা লাল রূপসী বাংলাকে দেখা যায়।

নদীর জলে ক্ষয়ের কারণে লাল মাটির দেওয়ালে প্রাকৃতিকভাবে গঠন হয়েছে নানান ভাস্কর্য়। বর্তমানে গিরিখাতের গবীরে প্রবেশ করার জন্য ও পর্য়টকদের সুবিধার্থে পাথর কেটে সিঁড়ি করা হয়েছে। পুরুলিয়ার মানভূমি থেকে উত্‍পন্ন হয়ে রাঢ় অঞ্চলের উপর দিয়ে এঁকেবেঁকে চলা দ্বারকেশ্বর নদের সঙ্গে মিশে রূপনারায়ণ নাম নিয়ে সাগরে মিশেছে। শীতের সকালে নদী ও ক্যানিয়নের এক অপূর্ব প্রাকৃতিক রূপ দেখতে পাবেন এখানে।

শুধুই কি লাল রঙের ঢেউ খেলানো মাটি! কাজুবাদাম গাছের সারি, কংসাবতী নদী, ইকোপার্ক, পশ্চিমমেদিনীপুরের গোপগড়, আরাবাড়ি জঙ্গল। এখানে বেশ কয়েকটি প্রাচীন বিখ্যাত মন্দির রয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় হল সর্বমঙ্গলা কালী মন্দির। এছাড়া রয়েছে ১৬ শতকে খনন করা রাইকোটা দূর্গ বা কালো ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা নির্মিত কৃষ্ণরাই জিউ মন্দির, বাগদি রাজা নৃপতি সিংহের তৈরি সর্বমঙ্গলা কালী মন্দিরে রয়েছে ওড়িষা স্থাপত্যের নিদর্শন। এছাড়া মল্ল রাজার দুর্জন সিংহের তৈরি রাধাবল্লভ মন্দিরে প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন দেখতে পারেন।

কীভাবে যাবেন- হাওড়া থেকে মাত্র তিনঘণ্টায় লোকালে চেপে পৌঁছে যেতে পারেন। এক্সপ্রেস ট্রেনও রয়েছে। হাওড়া থেকে ট্রেনে আড়াই ঘণ্টার পথ। এছাড়া হাওড়া স্টেশন ও ধর্মতলা থেকে প্রতিদিন মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাস চলাচল করে।

থাকবেন কোথায়- গড়বেতায় ছোট-বড় অনেক হোটেল রয়েছে। একটি ধর্মশালাও রয়েছে। বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর থেকেও গনগনি ঘুরে দেখতে পারেন।

আরও পড়ুন: Sikkim:কোভিড বিধি তুলে পর্যটকদের জন্য খোলা সিকিম! খুশির হাওয়া ব্যবসায়ী মহলে