Kalimpong: ৪০ ডিগ্রিতে নববর্ষ কাটাচ্ছেন? গরমের ছুটির জন্য রইল লিংসের ঠিকানা

Offbeat Destination: গরমের ছুটি কাটাতে যদি উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে ঘুরে নিতে পারেন লিংসে। কালিম্পং সাব ডিভিশনের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম।

Kalimpong: ৪০ ডিগ্রিতে নববর্ষ কাটাচ্ছেন? গরমের ছুটির জন্য রইল লিংসের ঠিকানা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2023 | 1:11 PM

দক্ষিণবঙ্গে ৪০ ডিগ্রি। তাই গরমের ছুটি কাটাতে অনেকেই পাড়ি দিয়েছেন উত্তরে। আর যাঁরা তাপপ্রবাহের মধ্যেই নববর্ষ কাটাচ্ছেন, তাঁরাও কিছুদিনের মধ্যে পাড়ি দেবেন পাহাড়ে। আর আপনি যদি এখনও ডেস্টিনেশন খুঁজে না পান, তাহলে এই নিবন্ধটি রইল আপনার জন্য। গরমের ছুটি কাটাতে যদি উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে ঘুরে নিতে পারেন লিংসে। কালিম্পং সাব ডিভিশনের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম লিংসে।

৪৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম লিংসে। এখনও খুব বেশি জনপ্রিয়তা পায়নি কালিম্পংয়ের এই গ্রাম। তবে, এই গ্রামের সৌন্দর্য মন ভোলানো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা গোটা গ্রাম। সবুজ পাহাড়ের মাঝে মেঘেদের ভেসে বেড়ানো আর রোদ-কুয়াশার লুকোচুরি গ্রাম জুড়ে। পাহাড়ের ধাপে ধাপে বড় এলাচের চাষ। তার সঙ্গে অর্গানিক ফসলের চাষ। আর রয়েছে অর্কিডের বাগান। গ্রামের হোমস্টেতের বারান্দায় দাঁড়ালে দেখা যায়, ঢেউ খেলানো পাহাড়ের স্তর। শোনা যায় পাখিদের কলবর। লিংসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতেই আপনার দু’দিন কেটে যাবে এখানে।

লিংসেতে মূলত তিনটি উপজাতির বাস। লেপচা যাঁরা প্রথম এখানে বসতি স্থাপন করেছিল। এছাড়া তিব্বত থেকে আসা ভুটিয়ারাও রয়েছে এখানে। এছাড়া যদিও এখানকার বৃহত্তম সম্প্রদায় হল গোর্খালি। এছাড়াও রাই, সুব্বা ও বিভিন্ন জনজাতির বাস। সুতরাং, খুব যে ছোট গ্রাম, তা কিন্তু নয়। জনবসতি ভাল থাকলেও পর্যটকদের মধ্যে অল্প পরিচিত এই লিংসে। এই জনজাতির আন্তরিক আতিথেয়তায় আরও সুন্দর অভিজ্ঞতা পাবেন লিংসে বেড়ানোর।

গ্রাম জুড়ে দেখা পাওয়া যাবে রঙিন ফুল আর অর্কিডের। সেই সঙ্গে রয়েছে রংবেরঙের প্রজাপতি। গ্রামের ধাপে ধাপে বাক্সবাড়ি আর চাষজমি। দূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। লিংসেতে দাঁড়িয়ে দেখা যায় নেওড়াভ্যালি ন্যাশনাল পার্কও। চাইলে ঘুরেও আসতে পারেন নেওড়াভ্যালি থেকে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, লিংসে থেকে পাথুরে পথ ধরে ট্রেক করে পৌঁছে যেতে পারেন নেওড়াভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক। এছাড়া লিংসে থেকে ঘুরে নিতে পারে লেপচা মনেস্ট্রি, পিতমচেন, মূলখাড়কা লেক, সেরিকালচার সেন্টার।

এনজেপি থেকে গাড়ি নিয়ে কালিম্পংয়ের রাস্তা ধরে পৌঁছে যেতে পারেন লিংসে। এনজেপি থেকে কালিম্পংয়ের দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিমি। এখান থেকে যদিও সিকিমের আরিতার হয়ে লিংসে যান তাহলে আরও প্রায় ৫৭ কিমি পথ যেতে হবে আপনাকে। পুরনো সিল্ক রুটের আরিতার থেকে লিংসের দূরত্বে মাত্র ৪ কিলোমিটার। আর এই লিংসের কাছেই অবস্থিত পিতমচেন ও মূলখাড়কা। সুতরাং, লিংসেতে রাত্রিযাপন না করলেও আপনি আরিতার কিংবা মূলখাড়কাতেও রাত কাটাতে পারেন। তবে, লিংসেতে হোমস্টে রয়েছে। যেখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু ২০০০ টাকা খরচ।