Chhatisgarh: পাহাড়-জঙ্গল-জলপ্রপাতে ঘেরা ‘মিনি তিব্বত’, পুজোর ছুটি কাটাতে পারেন পড়শি রাজ্যে

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Aug 29, 2023 | 11:27 AM

Offbeat Destination: ১৯৬২ সাল থেকে মাইনপাটে তিব্বতিদের বসবাস। আর সেই কারণেই গোটা শৈলশহর জুড়ে ছোট-বড় অনেক বৌদ্ধ মঠ দেখতে পাবেন। তার মধ্যে টাকপো মঠ এখানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তবে, মাইনপাটের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে জলপ্রপাতের মধ্যে।

Chhatisgarh: পাহাড়-জঙ্গল-জলপ্রপাতে ঘেরা মিনি তিব্বত, পুজোর ছুটি কাটাতে পারেন পড়শি রাজ্যে

Follow Us

পুজো শুরু হতে এখনও মাস দেড়েকের ওপর বাকি। কিন্তু পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট সব সোল্ড আউট। সে উত্তরবঙ্গ হোক বা উত্তর ভারত, সব ট্রেনেই প্রায় শ’য়ের উপর ওয়েটিং লিস্ট। বিমানের ভাড়াও তখন আকাশছোঁয়া। এমন অবস্থায় কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না? ডেস্টিনেশন বদলে ফেলুন। হিমালয়ের পাদদেশে বা সমুদ্রের তীরে যাওয়ার বদলে বিন্ধ্য পর্বতমালার কোলে ছুটি কাটাতে যান। পরশি রাজ্য ছত্তিশগড়েই রয়েছে ‘অফবিট’ স্পট। অনেকে বলেন ‘মিনি তিব্বত’। তবে নাম তার মাইনপাট।

ছত্তিশগড়ে সুরগুজা জেলায় অবস্থিত এই মাইনপাট। রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৩৬০ কিলোমিটারের পথ। অম্বিকাপুর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাইনপাট। পাহাড়, জঙ্গল, ঝর্না দিয়ে ঘেরা মাইনপাট। ছত্তিশগড়ের তিব্বত বলা হয় এই শৈলশহরকে। প্রায় পাঁচ দশক ধরে এখানে তিব্বতিদের বসবাস। ছত্তিশগড়ের দর্শনীয় স্থান হিসেবে রয়েছে চিত্রকোট জলপ্রপাত, বারনাওয়াপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাম্বলেশ্বরী মন্দির, দন্তেশ্বরী মন্দির, কৈলাস কুটুমসার গুহা ইত্যাদি। কিন্তু এসব কিছুর থেকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় মাইনপাট।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩,৫৬০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মাইনপাট। ১৯৬২ সাল থেকে মাইনপাটে তিব্বতিদের বসবাস। আর সেই কারণেই গোটা শৈলশহর জুড়ে ছোট-বড় অনেক বৌদ্ধ মঠ দেখতে পাবেন। তার মধ্যে টাকপো মঠ এখানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তবে, মাইনপাটের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে উল্টা‌পানি জলপ্রপাতের মধ্যে। ভিসারপানি গ্রামের মধ্যে অবস্থিত এই উল্টা‌পানি জলপ্রপাত। ‘উল্টা‌পানি’ নামের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এই জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য। দেখলে মনে হয় যেন নীচ থেকে উপরের দিকে উঠে আসছে জল। যদিও এটা শুধুমাত্র দৃষ্টিভ্রম। কিন্তু এই জলপ্রপাত দেখতে ভিড় করেন বহু পর্যটক।

জঙ্গলের মধ্যে ঘেরা মেহতা পয়েন্টও খুব জনপ্রিয়। এখান থেকে দেখা যায় সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়। এছাড়া যেতে পারেন বার্ড আই ভিউতে। এখান থেকে দেখা যায় সবুজে ঘেরা পাহাড়ের আরণ্যক সৌন্দর্য। এই জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে জলজলি নদী। এমনই অনেক ছোট-বড় নদী ও জলপ্রপাত রয়েছে গোটা শৈলশহর জুড়ে। সেগুলোই ঘুরে দেখতে আপনার দু’দিন চলে যাবে মাইনপাটে। আর ভুলেও মিস করবেন না বক্সাইটের খনি।

কলকাতা থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটারের রাস্তা মাইনপাট। হাওড়া থেকে মুম্বই বা পুনে গামী কোনও ট্রেনে চেপে আপনাকে নামতে হবে ঝারসুগুড়া। ঝারসুগুড়া স্টেশন থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটারের পথ মাইনপাট। স্টেশন থেকেই গাড়ি পেয়ে যাবেন। সময় লাগবে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা। মাইনপাট রাত কাটানোর জন্য আপনি অনেক রিসর্ট, কটেজ ও হোটেল পেয়ে যাবেন। দু-তিন দিনের জন্য অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন ছত্তিশগড়ের এই ‘মিনি তিব্বত’ থেকে।

Next Article