Monkeypox: মাঙ্কিপক্স এড়াতে বিদেশ ভ্রমণ বাতিল! নয়া ভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচিয়েই ঘুরে আসুন ড্রিম ডেস্টিনেশনে

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Jun 22, 2022 | 9:04 AM

Travelling: সংক্রমিত ব্যক্তির মুখোমুখি হলেই হতে পারেন ভাইরাসে আক্রান্ত। গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা যে রয়েছে, তা আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে বায়ুবাহিত কিনা তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন চিকিত্‍সকরা।

Monkeypox: মাঙ্কিপক্স এড়াতে বিদেশ ভ্রমণ বাতিল! নয়া ভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচিয়েই ঘুরে আসুন ড্রিম ডেস্টিনেশনে

Follow Us

করোনার (Coronavirus) দৌরাত্ম্য এখনও বিদ্যমান। নিম্নগামী হলেও কোভিডের রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox Virus) বাড়বাড়ন্তে রীতিমত ত্রস্ত চিকিত্‍সকবিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ৪২ টি দেশে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়েছে এই বিরল রোগ। আক্রান্তদের মধ্য়ে প্রায় ৯৯ শতাংশই পুরুষদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হু-এর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ২,১০৩ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আপাতত বিদেশ ভ্রমণের (Foriegn Travel) পরিকল্পনা থাকলে এখন আর শুধু কোভিড নিয়ে নয়, মাথায় রাখতে হবে মাঙ্কিপক্সের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিষয়গুলিতেও। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র আফ্রিকার দেশগুলিতেই ১৫০০টিরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য ও পশ্চিম এশিয়াতেও মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাই নিজেদের রক্ষার্থে কীকী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তার নির্দেশিকা জারি করেছে কয়েকটি দেশ।

দেশের বাইরে যাওয়ার সময় মাঙ্কিপক্স এড়াতে কী কী করবেন, জানুন…

– সংক্রমিতদের থেকে এড়িয়ে চলুন। তা সে মৃত হোক বা জীবিত।

– বন্যপ্রাণী থেকে এড়িয়ে চলুন। তাদের স্পর্শ করা বা খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।

– সাবান ও জল বা অ্যালকোহল ভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধুতে হবে বারবার।

আপনি যদি মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হোন, তাহলে কী-কী করণীয়, কী-কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, তা জানুন…

– ডিএইচএ রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করুন।

– মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলি যদি গুরুতর আকার ধারণ করে, রোগীর অবশ্যই স্থানীয় মেডিক্যাল সেন্টার বা হাসপাতালে যাওয়া উচিত।

– ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, বুঝলে বাড়িতে বা যেখানে থাকছেন, সেখানেই ২১ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকুন।

সিডিসির প্রধান রোচেল ওয়ালেনস্কি জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস (Monkeypox Virus)বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সংক্রমিত ব্যক্তির মুখোমুখি হলেই হতে পারেন ভাইরাসে আক্রান্ত। গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা যে রয়েছে, তা আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে বায়ুবাহিত কিনা তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন চিকিত্‍সকরা।

গুটি বসন্তের মত ফুসকুড়ি সৃষ্টিকারী এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে কী তাহলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন? এ ব্যাপারে মহামারী বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই বিরল ভাইরাস কোভিডের মতন বায়ুবাহিত হলেও তীব্রতা অনেক কম। তাঁদের মতে, এই রোদটি সামান্য কথোপকথন, মুদির দোকানের পাশ দিয়ে চলে গেলে বা দরজার নক বা ধরার কোনও জিনিস স্পর্শ করলেই ছড়িয়ে পড়ে না। এখনই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছে মার্কিন চিকিৎসকমহল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ড রোসামুন্ড লুইস বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী কয়েক ডজন দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ,সমকামী, উভকামীদে উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সমস্যাটি সম্প্রতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ও সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

Next Article