এবার সপ্তাহের একটা দিন আপনি কাটাতে পারবেন কলকাতার (Kolkata) সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘রোম্যান্টিক’ বাগানে। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য বিশেষ এই সুযোগ নিয়ে এল ভিক্টোরিয়া। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial) বলতেই বাঙালির চোখের সামনে বেশ কয়েকটি দৃশ্য উঠে আসে। সেই সাদা পরী, কচিকাচার দল, যুগল আর সবুজে ঘেরা বাগান। এবার সেই সবুজে ঘেরা বাগান আপনি পরিদর্শন করতে পারবেন সহজেই। গত সোমবার থেকে ভিক্টোরিয়ায় শুরু হয়েছে ‘নেচার ওয়াক’ (Nature Walk) অর্থাৎ বন পরিভ্রমণ পরিষেবা।
এই সপ্তাহে যদি আপনি এই নেচার ওয়াকের সুযোগ মিস করে থাকেন, তাহলে চিন্তা করবেন না। এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে সোমবার এই নেচার ওয়াকের সুযোগ পাবেন ২৫ জন প্রকৃতিপ্রেমী। প্রতি সপ্তাহে সোমবার করে এক ঘণ্টার বন পরিভ্রমণের আয়োজন করা হবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে।
৫৭ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ভিক্টোরিয়ার বিশাল উদ্যানটি। এখানে রয়েছে প্রায় ৬৩ প্রজাতিরও বেশি ১১২৩টি দেশি ও বিদেশি গাছ। প্রতি বছর এই উদ্যানে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি নতুন চারাগাছ রোপণ করা হয়। কোস্তা রিকার জাতীয় বৃক্ষ থেকে শুরু করে আফ্রিকার শস্য গাছ- কী নেই ভিক্টোরিয়ার এই উদ্যানে! এবার সেই সব উদ্ভিদ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভাবে জানার সুযোগ পাবেন এই নেচার ওয়াকে। এর পাশাপাশি প্রত্যেক মাসে যে কোনও একটি প্রজাতির গাছ বেছে নেওয়া হবে এবং সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে এই নেচার ওয়াকে।
সপ্তাহান্তে একটা দিন পরিবারের সঙ্গে কাটানোর হোক কিংবা মনের মানুষের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর হোক, কলকাতার কাছে-পিঠে সবাই বেছে নেয় ভিক্টোরিয়াকে। কলকাতার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হল ভিক্টোরিয়া। ভিক্টোরিয়ার পরীর প্রতি আকর্ষণ তো ছিল চিরকালই। এবার ভিক্টোরিয়ার উদ্যানের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
আশা করা হচ্ছে যে এই নেচার ওয়াক নবীনদের মধ্যে এক সচেতনতার জাগরণ করবে। কম বয়সিদের প্রকৃতির আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে ভিক্টোরিয়ার এই বন পরিভ্রমণ। এই উদ্যানের বিভিন্ন গাছের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা গল্প ও বিভিন্ন ইতিহাস। ১০০ বছর ধরে যে স্থাপত্য এই শহরের এক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে তার গহ্বরে ইতিহাস থাকবে না, তা যদিও মানা যায় না। তবে এই নেচার ওয়াকে তুলে ধরা হবে ভিক্টোরিয়ার উদ্যানের গল্প। মানুষের কাছে সেই সব উদ্ভিদের তথ্য পরিবেশন করা হবে, যা ১০০ বছর ধরে এই উদ্যানে জায়গা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক দুর্গ থেকে রাতের আকাশ দেখার সুযোগ! স্বপ্ন এবার সত্যি হবে মরুর দেশে