Rohtasgarh Fort: ইতিহাস হাতছানি দেয় রোহতাসে! ঘুরে আসুন বিহারের এই বিখ্যাত দুর্গ থেকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Dec 26, 2021 | 8:38 AM

ইতিহাস নিয়ে দ্ব‌ন্ধ থাকতেই পারে। কিন্তু এই দুর্গের সৌন্দর্যের সামনে সেই সব কিছু ফিকে হয়ে পড়ে।

Rohtasgarh Fort: ইতিহাস হাতছানি দেয় রোহতাসে! ঘুরে আসুন বিহারের এই বিখ্যাত দুর্গ থেকে
রোতাসগড় দুর্গ, বিহার। ছবি সৌজন্যে- বিহার ট্যুরিজম

Follow Us

ভারতের প্রতিটি রাজ্যে কোনও না কোনও ইতিহাস লুকিয়ে আছে। বাদ নেই বিহারের মত রাজ্যও। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এই বিহারেই লুকিয়ে আছে রোহতাসগড় দুর্গ। বিহারের রোহতাস জেলায় অবস্থিত রোহতাসগড় দুর্গকে বিহারের পাশাপাশি ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন এবং রহস্যময় দুর্গ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

কথিত আছে যে এই দুর্গটি যুদ্ধের সময় লুকানোর জন্য নির্মিত হয়েছিল। সেই সময়ে এই দুর্গে লুকানোর জন্য অনেক রহস্যময় কক্ষ ও দালান তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে আজও কেউ যেতে ভয় পায়। স্থানীয়দের দাবি,  এই দুর্গ থেকে রাতে বিকট চিৎকার শোনা যায়। অনেকে দিনের আলোতেও একা একা এই দুর্গে যেতে অনেকেই ভয় পান এবং দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দুর্গের ত্রি-সীমানাও কেউ পেরোতে চান না।

আপনার আগ্রহ যদি প্রধানত প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলি দেখার মধ্যে থাকে, তবে আপনাকে অবশ্যই বিহারের বিখ্যাত রোহতাস দুর্গে যেতে হবে, কিন্তু কেন? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিহারে অবস্থিত সুন্দর ও ঐতিহাসিক রোহতাস দুর্গ সম্পর্কিত কিছু মজার তথ্য।

রোহতাস দুর্গ বিহারের ঐতিহাসিক এবং প্রাচীন দুর্গগুলির মধ্যে একটি, যা রোহতাসগড় দুর্গ নামেও পরিচিত। সন রিভার ভ্যালিতে কাইমুর পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত রোহতাস দুর্গ। এই দুর্গের ইতিহাস বেশ মজার এবং দুর্বোধ্য। কারণ অনেকে মনে করেন এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি দুই রাজা মিলে নির্মাণ করেছিলেন।

তবে ইতিহাস বলছে, খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর রাজা হরিশচন্দ্রের পুত্র রোহিতাশ এই দুর্গটি তৈরি করেছিলেন। একই সময়ে, অনেক ঐতিহাসিকবিদ মনে করেন যে এই দুর্গটি মুঘল সম্রাট শের শাহ সুরি তৈরি করেছিলেন। কথিত আছে যে, এই দুর্গের সঙ্গে আইনা মহল, এর ভিতরের জামে মসজিদও শের শাহ সুরি তার রাজত্বকালে তৈরি করেছিলেন। তবে ইউনেস্কোর একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, এই একই নামের আরেকটি দুর্গ রয়েছে পাকিস্তানে। যেটা নির্মাণ করেছিলেন শের শাহ সুরি।

ইতিহাস নিয়ে দ্ব‌ন্ধ থাকতেই পারে। কিন্তু এই দুর্গের সৌন্দর্যের সামনে সেই সব কিছু ফিকে হয়ে পড়ে। এই দুর্গের গঠন খুবই সুন্দর এবং এটি গ্রানাইট শিলা এবং স্লেকড চুন দিয়ে তৈরি। এছাড়াও, এই দুর্গের স্থাপত্য খুব সুন্দর, দুর্গের দেয়ালগুলি অনেক সুন্দর নকশা এবং শিলালিপি দিয়ে সজ্জিত। দুর্গটি অনেক বড়, এই দুর্গে মোট ৮৩টি দরজা রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান চারটি হল- ঘোড়ে ঘাট, রাজ ঘাট, কাথৌটিয়া ঘাট এবং মেধা ঘাট।

আপনি যদি ইতিহাস জানতে আগ্রহী হন, তাহলে এই দুর্গটি ঘুরে আসতে পারেন। তবে রোহতাস ফোর্ট দেখার সেরা সময় অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে কারণ এই সময়ে আবহাওয়া খুব সুন্দর। এই দুর্গের গঠন ছাড়াও এখানে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। এই দুর্গ পরিদর্শন ছাড়াও, আপনি বিহারের সংস্কৃতি এবং বিখ্যাত খাবার উপভোগ করতে পারেন।

এই শহরটি তার হস্তশিল্পের জন্যও বিশ্বব্যাপী পরিচিত। যদিও, বিহারে বিদ্যমান সমস্ত দুর্গের মধ্যে রোহতাস ফোর্ট সবচেয়ে বিখ্যাত। এটি তার সুন্দর এবং প্রাচীন স্থাপত্যের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। এটি বিহারের অন্যতম বৃহত্তম এবং প্রাচীন দুর্গ। এই দুর্গ পরিদর্শন ছাড়াও আপনি এর আশেপাশে অবস্থিত আইনা মহল, রোহতাসন মন্দির, জামে মসজিদ এবং হাবশী খানের সমাধি, হাতিয়া পোল ইত্যাদি পরিদর্শন ও ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন। কারণ এই জায়গাটি দুর্গ থেকে বেশি দূরে নয়।

আরও পড়ুন: দেবতার বাস রয়েছে পাতালেও! কুমায়নের কোথায় অবস্থিত এমন স্থান?

Next Article