দীর্ঘ ২বছর ধরে স্থগিত থাকার পর ফের অমরমাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2022) শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জম্ম ও কাশ্মীর প্রশাসন। কোভিড বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে পূণ্যার্থীরা বাত্সরিক অমরনাথ যাত্রা শুরু করতে পারবেন। এমনটাই জানিয়েছিলেন জম্মু এবং কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। প্রতি বছরের মত এবারেও নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি রাখতে নারাজ সেনা ও প্রশাসন। তাই সন্ত্রাসবাদী পরিকল্পনা নস্যাত্ করার জন্য যাত্রায় সামিল করা হবে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমকে। আতঙ্কবাদীদের দ্বারা পরিচালিত ড্রোন যাতে আকাশপথের সীমারেখার মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
অমরনাথ যাত্রায় সামিল পূণ্যার্থীদের সুরক্ষার খাতিরে জম্মু ও কাশ্মীর নিরাপত্তা বাহিনী ড্রোন মোকাবিলা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করেছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, ড্রোন হামলাকে অবশ্য কোনও মতে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর অনুসারে অনলাইনে নাম রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তীর্থযাত্রীরা ৩০জুন থেকে ১১ অগস্ট সময়কালের মধ্যে যাত্রা করতে পারবেন। গত কয়েক বছর ধরে হিন্দুদের কাছে পবিত্র গুহায় যাত্রাপথরে নিরাপদ করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট গভর্নর সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সবরকম প্রস্তুতি নিতে ও সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তীর্থযাত্রীরা কোনও বিপত্তির সম্মুখীন না হন। শোনা যাচ্ছে ‘আরএফআইডি’ নামে একটি নতুন পদ্ধতি চালু করা হতে চলেছে সরকারের পক্ষ থেকে। ৪৩ দিনের যাত্রাপথে এবছর আরও বেশি পূণ্যার্থীর ভিড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে রামবন ও চন্দনওয়ারিতে ক্য়াম্পের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়েছে। বাড়ানো হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। বার-কোড সিস্টেম, স্যাটেলাইট ট্র্যাকার-সহ আরএফআইডি ট্যাগগুলি তীর্থযাত্রীদের ও কনভয়েক গতিবিধির উপর নজর রাখা সম্ভব বলে। রুট ও ক্যাম্প সাইটে অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে কোনও তীর্থযাত্রী পথে বিপদে পড়লে বা হারিয়ে গেলে সহজেই উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছে যেতে পারবে।
এছাড়া অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত ৫০টি সিআরপিএফ কোম্পানি কাশ্মীরের নিযুক্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে পহেলগাঁও বেস ক্যাম্পে একটি ভয়ংকর সন্ত্রাসহামলায় ১৭জন তীর্থযাত্রী-সহ ২৫জন নিহত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে একটি বাসে সন্ত্রাস হামলায় সাতজন তীর্থযাত্রী মারা যান। ফলে কোনও সময়েই সন্ত্রাসহামলার উদ্বেগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেইসব ভয়ংকর ঘটনাগুলি মাথায় রেখেই নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনও রকম ত্রুটি রাখতে নারাজ সেনা ও কাশ্মীর প্রশাসন।
আরও পড়ুন : Uttarakhand: প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সুখবর! অভিনব ‘তিতলি উত্সবে’ মজে দেবালসারি