গত কয়েক দিন ধরে মাত্রা বেড়েছে ভারতজুড়ে। বঙ্গে যেমন বসন্তের হাওয়া বইছে। তেমনই পাহাড়ের আবহাওয়াও বেশ মনোরম। তাই তো এটাই সেরা সময় পাহাড় ভ্রমণের। তবে, এবার ডেস্টিনেশন হোক হিমাচল প্রদেশ। বড় ট্রিপের নাম শুনলেই চিন্তা শুরু হয় ছুটি, বাজেট নিয়ে। কিন্তু সঠিকভাবে প্ল্যান করলে কম দিনের মধ্যে এবং অল্প খরচেই হিমাচল প্রদেশ ঘোরা সম্ভব। তাছাড়া মার্চই হিমাচল প্রদেশ বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময়। এই সময় খুব বেশি ঠান্ডা থাকে না আর চারদিক ভরে ওঠে সবুজে। তাছাড়া এই সময় হিমাচল প্রদেশ বেড়াতে গেলে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসেরও মজা নিতে পারবেন। শুধু আপনাকে সঠিক ডেস্টিনেশন বেছে নিতে হবে। কোথায় কোথায় যাবেন, দেখে নিন…
ম্যাকলিয়ড গঞ্জ– পাইন, ওক, দেবদারুর সম্ভার এই পাহাড়ি জনপদে। ধর্মশালা থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই ছোট্ট জনপদ ম্যাকলিয়ড গঞ্জ। এক সময় ব্রিটিশের বাস বেশি ছিল এখানে। যদিও এখন তিব্বতের আনাগোনাই বেশি। চাইলে ধর্মশালাতেও ছুটি কাটাতে পারেন। বসন্তের আমেজে এই সব পাহাড়ি জনপদ আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।
কুলু– হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট শৈল শহর কুলু। উপত্যকার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিপাশা নদী। এরই উত্তরে অবস্থিত মানালি। সন্তের রূপে সেজে ওঠে এই গোটা উপত্যকা। কুলু থেকে আপনি অনায়াসে ঘুরে নিতে পারেন মানালি, সোলাং ভ্যালি, রোহাতাং পাস, হাম্পতা পাস। এই উপত্যকায় প্যারাগ্লাইডিং, রিভার রাফটিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসেরও সুবিধা রয়েছে।
কাসল– পার্বতী উপত্যকার কোলে অবস্থিত কাসল। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে কাসল। আর বসন্তে এই গ্রাম আরও সবুজে ভরে ওঠে। কাসল থেকে আপনি তীর্থান ভ্যালি, মণিকরণ, মালানা ইত্যাদি ঘুরে আসতে পারেন। কাসল ওয়ার্ক ফ্রম ডেস্টিনেশন করার সেরা জায়গা। এখানে কম খরচে রাত্রিযাপনের জন্য জোস্টেল রয়েছে।
তোশ– এই পার্বতী উপত্যকার মধ্যে আরও একটি জায়গা রয়েছে, যেটা এই বসন্তে আপনার ডেস্টিনেশন হয়ে উঠতে পারে। জায়গার নাম তোশ। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে থাকতে চাইলে তোশকে বেছে নিন। এখান থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টা ট্রেক করে পৌঁছে যেতে পারে ক্ষীরগঙ্গা। নদীর তীরে সবুজের মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে ঘুরে আসুন তোশ থেকে।
নারকান্দা– শিমলা থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নরকান্দা। শীতে এই অঞ্চল বরফে ঢাকা থাকে। কিন্তু বসন্তে এই জায়গা ভরে ওঠে চেরি ব্লসমে। নারকান্দা হল হিমাচল প্রদেশের সেই জায়গা যেখান থেকে প্রথম আপেল চাষের ক্যালচার শুরু হয়। সেই কারণে এই পাহাড়ি গ্রাম ‘দ্য ল্যান্ড অফ অ্যাপেল অ্যান্ড চেরি ব্লসম’ নামেও পরিচিত।