World’s Last Road: পৃথিবীর যেখানে রাস্তা শেষ সেখানে একা যাওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা, কিন্তু কেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: শোভন রায়

Dec 20, 2021 | 8:38 AM

নরওয়ের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয় ১৯৩০ নাগাদ। এর ৪ বছর পর ১৯৩৪ সালে রাস্তাটি তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। পর্যটন, মৎস্যচাষ ইত্যাদির পরিকল্পনাও তাতে সামিল ছিল।

Worlds Last Road: পৃথিবীর যেখানে রাস্তা শেষ সেখানে একা যাওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা, কিন্তু কেন?

Follow Us

ছোটবেলা থেকেই নানা ধরনের প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘোরে। আকাশের কি শেষ নেই, গাছের পাতা সবুজ কেন, পাখি আকাশে ওড়ে কীভাবে। এরকম অনেক প্রশ্নের মতোই একটা প্রশ্ন আমাদের ছোটবেলা থেকেই মনে হত, পৃথিবীর কোথায় রাস্তা শেষ? ঠিক কোন জায়গা থেকে আর রাস্তা নেই! ইউরোপের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ হল পৃথিবীর শেষ রাস্তা। যেটি নরওয়েতে অবস্থিত।

উত্তরমেরুর মেরুজ্যোতি দেখা যেমন বিস্ময়ের ঠিক তেমনিই অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা স্বপ্ন দেখেন পৃথিবীর শেষ রাস্তা দিয়ে অন্তত একবার হলেও হাঁটবেন। পৃথিবীর শেষ রাস্তাটি অবস্থিত উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার উপরের দিকে। তবে রাস্তাটিকে কেন বিশ্বের শেষ রাস্তা বলার যেমন কারণ আছে তেমনই সেখানে একা না যাওয়ারও কারণ আছে।

ডেইলিহান্ট আর ডেঞ্জারাস রোডসের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউরোপের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গেছে। এই পথ উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের ওল্ডারফিউওর্ড গ্রামের সঙ্গে। পথটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৯ কিলোমিটার। ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ তে যেতে গেলে ৫টি টানেল পার হতে হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে লম্বা টানেল ‘নর্থ কেপ’র দৈর্ঘ্য ৬.৯ কিলোমিটার। এটি গিয়ে পৌঁছায় সমুদ্রতলের প্রায় ২১২ মিটার নীচে।

পৃথিবীর শেষ রাস্তায় একা যাওয়া নিষেধ কেন?

‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে যাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। সেগুলো না মানলে ওই রাস্তায় যাওয়ার কথা ভুলেও ভাববেন না। ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ অভিনব ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এখানে কাউকে একা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। এখানে একদিকে যেমন ভয়ানক গতিতে বাতাস বয় তেমনই এখানে ঠান্ডা।

সেখানকার আবহাওয়া একেবারেই অনিশ্চিত। গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আবার সমুদ্র উপকূলে হওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে। আর শীতকালে এই রাস্তা একেবারেই বন্ধ থাকে। অতিরিক্ত তুষারপাত বা বৃষ্টি হলে আবার গাড়ি চালানো ভয়ানক বিপজ্জনক। যখন তখন সেখানে ঝড় উঠতে পারে। এই অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণেই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে একা যাওয়া নিষেধ।

নরওয়ের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয় ১৯৩০ নাগাদ। এর ৪ বছর পর ১৯৩৪ সালে রাস্তাটি তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। পর্যটন, মৎস্যচাষ ইত্যাদির পরিকল্পনাও তাতে সামিল ছিল। ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’র বর্তমান দৈর্ঘ্য ১২৯ কিলোমিটার। যা সম্পূর্ণ হয়েছে ১৯৯২ সালে। তারপর থেকে এভাবেই চলছে। যদিও আন্তর্জাতিক মহলে ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’টি পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলে স্বীকৃতি পেয়েছে, তবে এরকম রাস্তা বিশ্বে আরও আছে।

আরও পড়ুন: Dolls’ Balcony: ভেনেজুয়েলার এই বারান্দা থেকে উঁকি মারছে একগুচ্ছ পুতুলের মাথা, ভয়ঙ্কর না কি সুন্দর, কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এর?

আরও পড়ুন: Hoover Dam: আশ্চর্য জায়গা! জল ফেললে নীচে না পড়ে উপরে ভাসছে, পৃথিবীতেই আছে এই অদ্ভুত স্থান…

Next Article