Gisborne Airport: নিউজিল্যান্ডের এই এয়ারপোর্টে রানওয়ের মাঝ বরাবর চলে গেছে রেললাইন…

TV9 Bangla Digital | Edited By: শোভন রায়

Dec 19, 2021 | 8:30 AM

২০১৮ সালে পুনঃডিজাইন করা হয়েছে। এজন্য তারা ঋণ পেয়েছিল ৫.৫মিলিয়ন ডলার। মূল রানওয়ের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা স্তরের পাশাপাশি এটিকে দর্শনার্থীদের জন্যও সাজানো হয়েছে।

Gisborne Airport: নিউজিল্যান্ডের এই এয়ারপোর্টে রানওয়ের মাঝ বরাবর চলে গেছে রেললাইন...

Follow Us

আজকের দিনে পণ্য পরিবহন কিংবা যাতায়াতের অন্যতম সহজ আর দ্রুততম মাধ্যম হল আকাশপথ। কিছু বছর আগেও বিমানে চড়া আভিজাত্যের অংশ ছিল। তবে তার পাট চুকিয়ে বর্তমানে শুধু দেশের বাইরেই নয় দেশের গণ্ডির ভেতরেই বেড়েছে বিমানে চলাচল। অনেক ধন কুবেরের তো আবার নিজস্ব হেলিকপ্টার থেকে বিমানও।

বিমানের ওঠা আর নামার জন্য রানওয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বের এমন কিছু রানওয়ে আছে যা তৈরির সময় পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল। আমার কোথাও কোথাও উপায় না পেয়েই রেললাইন মাঝে রেখেই রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক রানওয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের পূর্ব উপকূলে এলগিন শহরে অবস্থিত গিসবোর্ন বিমানবন্দরের রানওয়ে। যেখানে রানওয়ের মাঝেই রয়েছে রেললাইন।


প্রায় ১৬০ হেক্টর জায়গাজুড়ে এই বিমানবন্দরের অবস্থান। রয়েছে তিনটি ঘাস রানওয়ে এবং এর ঠিক মাঝেই রয়েছে একটি রেললাইন। একবার ভাবুন তো আপনি সেই রেলের কিংবা বিমানের যাত্রী। দুটো একইসঙ্গে অতিক্রম করছে রানওয়ে। এমন অবস্থায় যে কারো পিলে চমকে যাবে। বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর এটি। তবে এখানে তেমন মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি এখনও।

দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৬.৩০ এবং রাত ৮.৩০ এ এখানে বিমান ল্যান্ড করতে পারে। আর এর মাঝের সময়গুলোতে ট্রেন যাতায়াত করে। বিমানবন্দরটি গিসবোর্নের ছোট অঞ্চলে প্রবেশের একটি প্রধান সংযোগ। ৬০টিরও বেশি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে এখানে। প্রতি বছর এই বিমানবন্দর দিয়ে এক লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করে। মোদ্দা কথায়, পুরো ব্যাপারটা শুনতে যতটা বিপজ্জনক মনে হচ্ছে, আদপে ঠিক ততটা ভয়ের কারণ এক্ষেত্রে নেই। একটু সচেতন থাকলেই খুব সুন্দরভাবেই যে কোনও আসন্ন দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়।

২০০৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর গিসবোর্ন ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলর এই বিমানবন্দরটি নির্মাণ করেন। রানওয়ে ৪ হাজার ২৯৭ ফুট লম্বা। ২০১৮ সালে পুনঃডিজাইন করা হয়েছে। এজন্য তারা ঋণ পেয়েছিল ৫.৫মিলিয়ন ডলার। মূল রানওয়ের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা স্তরের পাশাপাশি এটিকে দর্শনার্থীদের জন্যও সাজানো হয়েছে। তবে, যদি আপনারা এমন দৃশ্যের আশা করে থাকেন যে বিমান উড়ে যাচ্ছে আর তার ঠিক নীচেই ট্রেনও চলেছে, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা হতাশই হতে হবে।

আরও পড়ুন: Dolls’ Balcony: ভেনেজুয়েলার এই বারান্দা থেকে উঁকি মারছে একগুচ্ছ পুতুলের মাথা, ভয়ঙ্কর না কি সুন্দর, কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এর?

আরও পড়ুন: Himachal Pradesh: সিমলা-কুলু-মানালি তো সকলেই যান, এবার শীতের মরসুমে ঘুরে আসুন হিমাচলের কোলে লুকিয়ে থাকা এই সবুজ উপত্যকা থেকে

আরও পড়ুন: Hoover Dam: আশ্চর্য জায়গা! জল ফেললে নীচে না পড়ে উপরে ভাসছে, পৃথিবীতেই আছে এই অদ্ভুত স্থান…

Next Article