Dolls’ Balcony: ভেনেজুয়েলার এই বারান্দা থেকে উঁকি মারছে একগুচ্ছ পুতুলের মাথা, ভয়ঙ্কর না কি সুন্দর, কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এর?
অনেকেই ভাবতেন এই পুতুলগুলো শয়তানের প্রতীক। তবে অন্যরা বারান্দাটিকে স্থানীয় ল্যান্ডমার্ক হিসেবে গ্রহণ করেছে। তবে কিছু প্রতিবেশীরা সন্দেহ করে, এ বাড়ির মানুষেরা ঘরে কালো জাদু করেন।
ভেনিজুয়েলার রাজধানী মধ্য কারাকাসে রহস্যময় এই পুতুলের বারান্দাটি দেখতে পাবেন। এটি সেখানকার একটি বিস্ময়কর ল্যান্ডমার্ক। শত শত পুরোনো পুতুলের মাথা মাথা সারিবদ্ধভাবে সাজানো আছে একটি বড় বারান্দায়। সেদিকে তাকালেই যেন গা শিউরে ওঠার উপক্রম হয়। মনে হবে, শত শত চোখ তাকিয়ে আছে আপনার দিকে! ভেনেজুয়েলার রাজধানীতে অবস্থিত একটি দুই তলা বাড়ির বারান্দায় এভাবেই থরে থরে সাজানো আছে ভয়ঙ্কর পুতুলের শত শত মাথা।
ভবনটির পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে গেলেও ভয় পাবেন নিশ্চিত। তবে আপনি যদি সাহসী হন তাহলে এ স্থানটি ভ্রমণ করতে পারেন। দিনের বেলায়ও পুতুলের বারান্দার পাশ দিয়ে যাওয়া যথেষ্ট ভয়ঙ্কর। আর রাত হলেও তো স্থানীয়রা ওই পথ মাড়ানই না।সবচেয়ে অদ্ভূত ঘটনা হলো, এসব পুতুলের দিকে যদি কেউ কিছু ছুঁড়ে মারেন তাহলে দেখা যায় কালো অশ্রুর মতো কিছু একটা পুতুলের চোখ বেয়ে ঝরছে! ঠিক যেন হরর মুভির দৃশ্য!
স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, ভবনটি স্থানীয় ভিজ্যুয়াল শিল্পী ইটানিস গনজালেজের। তিনিই নিজ বাড়ির কিছু অংশ যাদুঘরে পরিণত করেছেন। বারান্দাটিও তার অনেক শিল্প স্থাপনার মধ্যে একটি। গনজালেজের ছেলে জোনাথন জানান, বাবার ৩ বছর সময় লেগেছিলো প্রতিটি পুতুলের মাথা সংগ্রহ ও যত্নের সঙ্গে সেগুলোকে সংরক্ষণ করতে। প্রথম দিকে পুতুলের বারান্দাটি কেউই মেনে নিতে চাননি।
তাদের প্রতিবেশীরাও পুতুলের মাথা নামিয়ে নিতে বাধ্য করেছিল। অনেকেই ভাবতেন এই পুতুলগুলো শয়তানের প্রতীক। তবে অন্যরা বারান্দাটিকে স্থানীয় ল্যান্ডমার্ক হিসেবে গ্রহণ করেছে। তবে কিছু প্রতিবেশীরা সন্দেহ করে, এ বাড়ির মানুষেরা ঘরে কালো জাদু করেন। এমনও গল্পের রটনা আছে যে, বৃদ্ধ গনজালেজ মাঝরাতে বিভিন্ন ঘরে গিয়ে ছোট মেয়েদের পুতুল চুরি করে এনে বারান্দায় রাখেন। তবে এসব তথ্যের কোনো প্রমাণ নেই। এগুলো নিছকই রটনা। অদ্ভুত সুন্দর এই পরিকল্পনা সত্যিই প্রসংসার দাবি রাখে।