Timburey: সান্দাকফু ট্রেক করতে যাবেন? ফেরার পথে দু’ দিন কাটিয়ে যান তিমবুরেতে

Offbeat Destination: আজকাল সান্দাকফু থেকে নামার সময় অনেকেই শ্রীখোলা, গুরদুমে একরাত কাটিয়ে যান। কিন্তু তিমবুরের সৌন্দর্য দেখার জন্য কতজনই বা আসেন?

Timburey: সান্দাকফু ট্রেক করতে যাবেন? ফেরার পথে দু' দিন কাটিয়ে যান তিমবুরেতে
তিমবুরে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 04, 2022 | 9:21 AM

যাঁরা সাধারণত ট্রেক করেন না তাঁদের মনেও সুপ্ত বাসনা রয়েছে সান্দাকফু (Sandakphu) ট্রেক করার। তাছাড়া হিমালয়ের নামজাদা শৃঙ্গ দেখতে বছরভর পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে শ্রীখোলা- সান্দাকফু রুটে (Trekking Route)। এই রুটে গুরদুম, রিমবিকের মত এমন কিছু পাহাড়ি গ্রাম পড়ে, যেখানে অনায়াসে কিছু দিনে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দেওয়া যায়। যদিও এমন অনেক পর্যটকই রয়েছেন, যাঁরা সান্দাকফু ট্রেকের চেয়ে এই সব অফবিট ডেস্টিনেশনের (Offbeat Destination) খোঁজে বেশি থাকেন। আজ এমনই একটি গন্তব্যের খোঁজ নিয়ে এসেছে টিভি৯ বাংলা। শ্রীখোলা- সান্দাকফু রুটের অন্যতম জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন শ্রীখোলা। আর সেই শ্রীখোলার কাছেই রয়েছে তিমবুরে (Timburey)।

সান্দাকফু থেকে গুরদুম হয়ে যে রাস্তা শ্রীখোলার দিকে যাচ্ছে, ওই রাস্তার মাঝেই রয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম তিমবুরে। গ্রামের জনবসতি হাতে গোনা। মূলত নেপালি জনগোষ্ঠীর বাস তিমবুরে। ছোট্ট ছোট্ট কাঠের বাড়ি আর এক ফালতি চাষের জমি। এই নিয়েই ৬,৫৫০ ফুট উচ্চতায় নিশ্চুপে রয়েছে তিমবুরে। শ্রীখোলায় যে নদীর ধারে আপনি রাত কাটানোর কথা ভাবছেন বা কেউ কেউ রাত কাটিয়েছেনও, সেই শ্রীখোলা নদী বয়ে গেছে তিমবুরে হয়ে।

হাতে গোটা কয়েকটা কাঠের বাড়ি। পাহাড়ের ধাপে ধাপে নেমে গেছে চাষ জমি। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শ্রীখোলা নদী। চারিদিক সবুজে মোরা। ব্যস্ত জীবনের রেশ টুকুও নেই এখানে। রয়েছে শান্ত পরিবেশ। রয়েছে নেপালি জনজীবন। রয়েছে সুস্বাদ মোমো। আর রয়েছে সেই পাহাড়ি গ্রামের নৈসর্গিক দৃশ্য। এমন পরিবেশে দুটো দিন কাটিয়ে গেলে খুব একটা ক্ষতি হবে না। আজকাল সান্দাকফু থেকে নামার সময় অনেকেই শ্রীখোলা, গুরদুমে একরাত কাটিয়ে যান। কিন্তু তিমবুরের সৌন্দর্য দেখার জন্য কতজনই বা আসেন?

আপনি যদি ছবি তুলতে ভালবাসেন, তাহলে তিমবুরে আপনাকে নিরাশ করবে না। কিন্তু পক্ষীপ্রেমী এলে, মন ভরে যাবে আপনার। তিমবুরে জলরাশির শব্দ আর ঠান্ডা হাওয়া আপনার সারাক্ষণের সঙ্গী। এর পাশাপাশি ভোর থেকে বিকাল অবধি আপনার কানকে ব্যস্ত রাখবে পাখির দল। এখানে বহু হিমালয়ান পাখির দেখা মেলে। এর পাশাপাশি মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে বেড়াতে গেলে লাল টুকটুকে রডোড্রেনডনের দেখা পাবেন এই গ্রামে।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন-

গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গের যে সব অফবিটগুলো বাঙালির কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তার মধ্যে নাম রয়েছে শ্রীখোলার। সেই শ্রীখোলা থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত তিমবুরে। আপনি যদি সান্দাকফু ট্রেক করে তিমবুরে রাত কাটাতে চান, তাহলে আপনাকে গুরদুম হয়ে পৌঁছাতে হবে তিমবুরে। গুরদুম থেকে ৩ কিলোমিটারের পথ তিমবুরে। তবে যে পথ ধরেই তিমবুরে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন না, এখানে ট্রেক ছাড়া কোনও গতি নেই। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শ্রীখোলা অবধি গাড়িতে এলেও এরপর বাকি পথ হেঁটে পৌঁছাতে হবে তিমবুরে। থাকার জন্য কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। এছাড়াও লজ রয়েছে। খরচ জনপ্রতি ১,২০০ টাকা।

আরও পড়ুন: ঘরে বসে থেকে থেকে ক্লান্ত লাগছে? পাহাড়ের বসন্ত গায়ে মেখে নিন বোরংয়ে