সিকিমে এখন সারাবছর পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এমনকী বর্ষায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কাকে এড়িয়ে অনেকেই পাড়ি দেন সিকিমে। তাছাড়া বর্তমানে সিকিমের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা পাহাড়ি গ্রামগুলোও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এসব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে গেলে খুঁজে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক প্রশান্তি। তার সঙ্গে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। যদিও বর্ষায় কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া দুষ্কর। তাও বর্ষায় আপনি সিকিমে বেড়াতে যেতে পারেন। কিন্তু সিকিম বেড়াতে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। সেগুলো কী-কী চলুন জেনে নেওয়া যাক…
১) বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আবহাওয়া দেখে নেবেন। যেহেতু বর্ষাকালে সিকিম যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাই অত্যধিক বৃষ্টিপাতের কারণে ধস হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
২) বর্ষাকাল হলেও সিকিমে ঠান্ডা সারাবছর থাকে। তাই শীতবস্ত্র অবশ্যই সঙ্গে নেবেন। আর সঙ্গে নেবেন ছাতা ও রেইনকোট। ওয়াটারপ্রুফ জুতো ব্যবহার করবেন। স্যাঁতস্যাঁত জায়গায় জোঁক থাকে, তাই পা ঢাকা জুতো পরাই ভাল।
৩) উত্তর সিকিমে রয়েছে লাচুন, লাচেন, নাথুলা, গুরুদংমার লেকের মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এসব জায়গার উচ্চতাও প্রায় ১৭,৮০০ ফুট। তাই এসব জায়গায় বেড়াতে গিয়ে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভোগেন। সেক্ষেত্রে আপনি সঙ্গে রাখতে পারেন অক্সিজেন কিট। ট্রাভেল অক্সিজেন কিট সঙ্গে রাখলে আপনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সহজেই এড়াতে পারবেন। সিকিম সরকারের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১ জুলাই থেকে এবার রাজ্যের প্রতিটা গাড়িতে অক্সিজেন কিট বা ক্যানিস্টার রাখা বাধ্যতামূলক।
৪) সিকিমে রয়েছে নেপাল, ভুটান ও তিব্বতের সীমান্ত। তাই সিকিমের কোনও পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে যাওয়ার জন্য আপনার অনুমতি পত্রের প্রয়োজন। সিকিমের নির্দিষ্ট জায়গায় থেকে এই পারমিট করাতে হয়। পারমিট করানো ঝক্কির কাজ নয়। কিন্তু এই অনুমতি পত্র পাওয়ার জন্য আপনাকে আধার কার্ড, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঙ্গে রাখতে হবে।
৫) সিকিমের বেড়াতে গিয়ে যত্রতত্র স্থানে প্যাকেট বা ময়লা ফেলবেন না। সিকিম খুবই পরিচ্ছন্ন জায়গা। তাই বেড়াতে গিয়ে সেই রাজ্যের সৌন্দর্যতা বজায় রাখার দরকার।
৬) সিকিম বাজেট ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন। অর্থাৎ কম খরচেও আপনি সিকিমের বিভিন্ন পর্যটক কেন্দ্র সহজেই ঘুরে নিতে পারবেন। তবে, বেড়াতে যাওয়ার আগেই যদি হোমস্টে বুক করে রাখেন, তাহলে খরচ আরও কমবে। তাই যখনই সিকিম যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, বুক করে ফেলুন হোমস্টে ও গাড়ি। এই দু’টো বিষয় ঠিক থাকলেই আর কোনও চিন্তা নেই।