ভারত মানেই সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মানুষজন আর অবশ্যই নানারকমের রান্নার পদ। ভারতীয় রান্নার প্রেমে এখন সারা বিশ্ব। ভারতের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব স্টাইলের নিজস্ব রান্নার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিরিয়ানি, কষা মাংস, আলুর পরোটা, কাবাবের গন্ধ আর স্বাদের জন্য প্রতিটি রাজ্যের রয়েছে বিশেষ ছোঁয়া। তবে কখনও লাল পিঁপড়ের চাটনি, বেবি শার্কের কারির স্বাদ কখনও নিয়েছেন! বিদেশের কথা বলছি না, এই বিচিত্র ও খাবারই পাওয়া যায় এই দেশেই।
রেশম পোকার লার্ভা (লার্ভা), অসম
অসমের বিচিত্র কিন্তু বিখ্যাত রেসিপি হল রেশম পোকার লার্ভা। স্থানীয় মশলা সহযোগে এই লার্ভার স্বাদ নাকি অসাধারণ। রংবেরঙের লার্ভার তৈরি বিচিত্র পদ তৈরির জন্য অসমীয়ারা পটু।
লাল পিঁপড়ের চাটনি, ছত্তিশগঢ়
ছত্তিশগঢ়ের উপজাতিদের প্রিয় খাদ্য হল এই লাল পিঁপড়ের চাটনি। ছাপড়া অর্থাত লালা পিঁপড়ের চাটনি দিয়ে সব রকমের খাবার খেতে পারেন আপনি। স্থানীয় মশলা আর শুকনো লাল পিঁপড়ে, তাদের ডিম দিয়ে বানানো হয় এই সুস্বাদু চাটনি।
ব্যাঙের পা , সিকিম
শুনেই গা গুলাচ্ছে! কিন্তু যদি না বুঝে এই বিচিত্র খাবারের স্বাদ নেন, তাহলে মনেই হবে না আপনি ব্যাঙ খাচ্ছেন। সাধারণত সিকিমের লেপচা সম্প্রদায়ের মানুষরা এই অসাধারণ স্বাদের ও বিচিত্র খাবার খেতে অভ্যস্ত। ব্যাঙের পা দিয়ে তৈরি রান্নার পদ একপ্রকার ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পেটের সমস্যা দূর করতে এই খাবার বানানো হয়।
আরও পড়ুন: শিমলার একদম কাছেই মাসোর্বা! পাহাড়প্রেমীদের জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন
ভাজা শামুক, ওড়িশা
কখনও ভেবেছেন, শামুককে ভেজে খাবেন? যদি খেতে চান, তাহলে ওড়িশা আপনার পরবর্তী ডেস্টিনেশন হওয়া উচিত। এই রাজ্যের উপজাতিদের একটি বিশাল অংশ প্রাকৃতিক খাবার খেতে অভ্যস্ত। আর সেই পদগুলির মধ্যে ফ্রায়েড স্নেল হল অন্যতম।
কুকুরের মাংস, নাগাল্যান্ড
বিশ্বাস হচ্ছে না! তবে নাগা গোষ্ঠীদের প্রধান ও প্রিয় খাদ্য হল কুকুরের মাংস। উপজাতিদের মধ্যে এই খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু হিসেবে মানা হয়। কুকুরের মাংস দিয়ে তৈরি নানা রকমের পদ এই উপজাতিদের কাছে জনপ্রিয়।
বেবি শার্ক কারি, গোয়া
সিফুডের জন্য বিখ্যাত গোয়ায় কখনও গেলে বেবি শার্কের দুরন্ত স্বাদের কারি অর্ডার করতে ভুলবেন না যেন। গোয়ার স্টার ডিশ এটি। বিভিন্ন সস দিয়ে তৈরি এই বেবি শার্কের কারি গোয়ান স্পেশাল কারি হিসেবে মানা হয়।