West Bengal Tourism: শীতের মুখেই দারুণ খবর! ডিসেম্বরেই গঙ্গাবক্ষে নামছে ২২টি নয়া ই-ভেসেল

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Nov 05, 2022 | 4:33 PM

Electric-vessels in West Bengal: জানা গিয়েছে, রাজ্যের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে ভেসেলগুলির নামকরণ করবেন তিনিই। তবে এখনও কোনও নাম রাখা হয়নি।

West Bengal Tourism: শীতের মুখেই দারুণ খবর! ডিসেম্বরেই গঙ্গাবক্ষে নামছে ২২টি নয়া ই-ভেসেল

Follow Us

হেমন্তের হিমেল হাওয়া শুরু হতে না হতেই সুখবর এল দক্ষিণবঙ্গবাসীদের কাছে। পরিকল্পনা মেনে যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে শীতকালেই (Winter Season) গঙ্গাবক্ষে নামছে ২২টি নয়া দূষণহীন জলযান (E Vessels)। বিশ্বব্যাঙ্কের  (World Bank) আর্থিক সাহায্যে পরিবহন দপ্তর এই ডিসেম্বরেই নামাতে চলেছে এই পরিবেশবান্ধব জলযান (Eco-Vessels)। ৮০ থেকে ১০০ আসন বিশিষ্ট এই জলযানগুলো ঘাট পারাপার করবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, গঙ্গার তীরে একইসঙ্গে ৯টি অত্যাধুনিক জেটিও তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিও একসঙ্গে উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জানা গিয়েছে, রাজ্যের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে ভেসেলগুলির নামকরণ করবেন তিনিই। তবে এখনও কোনও নাম রাখা হয়নি। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে গঙ্গাদূষণ কমাতে এণন ই-ভেসেল বা ইলেকট্রিক ভেসেলের সংখ্যা বাড়িয়ে গঙ্গাবক্ষে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।

কী কী সুবিধা থাকছে এই পরিবেশবান্ধব জলযানগুলিতে?

– দূষণ কমাতে ও সড়কপথে ট্রাফিক হ্রাস করতে জলপথে ভ্রমণ ও চলাচলকে বিশেষ জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। জেটির আধুনিকীকরণ, নয়া ইকো-ভেসেলের সংখ্যা বাড়িয়ে জলপরিবহন ব্যবস্থাকে ফের চাঙ্গা করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।

– সড়কপথে যান চলাচলের উপর নির্ভরতা কমাতেও এই নয়া উদ্যোগ কাজে লাগতে পারে। প্রত্যকটি যানেই রয়েছে ১০০টি করে আসন। তাতে ভিড় হবে না। যাত্রীরা বেশ আরাম করেই যাতায়াত করতে পারবেন।

– পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই ভেসেলগুলিতে রয়েছে বায়ো টয়লেট। তাতে জলদূষণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয় এই পরিবেশবান্ধব ভেসেলগুলি থেকে একফোঁটা দূষণ তো নয়ই গঙ্গাবক্ষে কোনও নোংরা নির্গত হবে না। একটি জায়গায় জমা হলে সেই নোংরা ঘাটে এসে পরিষ্কার করতে হবে।

– প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়জলের রাতেও এই বিশেষ ভেসেলের কোনও সমস্যা হবে না। অনায়াসে নদী পারাপার করতে পারবে এই ভেসেল। যাত্রী সুরক্ষার দিক থেকে কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। প্রতিটি জলযান নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে এক কোটি সত্তর লক্ষ টাকা করে। মোট ২০০ কোটি টাকা এই খাতে খরচ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

– বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় জলপরিবহনকে ঢেলে সাজানোর একাধিক প্রকল্প রয়েছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের। গঙ্গাবক্ষে এই পরিবেশবান্ধব জলযানগুলি ওই আর্থিক সহায়তা থেকে নির্মাণ করা হয়েছে।

– কোথায় কোথায় এই জলযানের ব্যবস্থা উপভোগ করা যাবে? এখনও পর্যন্ত কয়েকটি ঘাটের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। গৌরহাটি, রাসমনি ঘাট,গাদিয়ারা, আউট্রাম ঘাট, বাঁশবেড়িয়া, দেবীতলার মত জেটিগুলিতে ফের নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। আধুনিকতার মোড়কে সেজে উঠছে গঙ্গার তীরে অবস্থিত প্রাচীন ঘাটগুলি।

– আলো, স্মার্ট গেট, ইকো-টয়লেট সবই রয়েছে এই নয়া ঘাটে। জানা গিয়েছে, হুগলীর ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুরপুর পর্যন্ত এই নয়া ভেসেগুলি বিভিন্ন ঘাটে নদী পারাপার করবে।