ভিয়েতনাম ডিসেম্বরের পর থেকে টিকাপ্রাপ্ত পর্যটকদের জন্য প্রবেশদ্বার খুলে দিয়েছে। প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশ। এই সুযোগগুলো সেই সমস্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যাঁদের কোভিড ১৯-এর ঝুঁকি কম থাকবে। সরকার বুধবার ঘোষণা করেছে যে দেশটি ২০২২ সালের জুন থেকে সম্পূর্ণরূপে পর্যটকদের পুনরায় প্রবেশাধীকার দেবে বলে ভাবছে।
ভিয়েতনাম এশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্য, যেখানে প্রতিটা রাস্তার মোড়ে মোড়ে অনন্য অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই দেশ মূলত পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। রাস্তার খাবার এবং মনোরম সব দ্বীপের জন্য দেশটি বেশ জনপ্রিয়। ভিয়েতনাম এশিয়ার সবচেয়ে সেরা ব্যাকপ্যাকিং গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি হতে পারে। দেশটি অন্যান্য দেশের মতো সম্পূর্ণ লকডাউন হয়ে গিয়েছিল এবং গত বছর অতিমারীর প্রাদুর্ভাবের সময় পুরোপুরি দেশের সীমান্ত বন্ধ ছিল।
ভিয়েতনাম সরকারের করা সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুসারে দেশটি নভেম্বরের পর থেকে টিকাপ্রাপ্ত পর্যটকদের জন্য ফু-কোক দ্বীপটি পুনরায় চালু করছে। ডিসেম্বর থেকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলি পুনরায় চালু করবে বলে জানিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে না ট্রাং সৈকত, হালং বে, হোই আন এবং ডালাট।
অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই দেশ কেবল তখনই খোলা থাকে যখন তা নিরাপদ সীমার মধ্যে থাকে। আমরা মহামারীর বাস্তব পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য, সতর্কতার সঙ্গে নমনীয়ভাবে ধাপে ধাপে এগোচ্ছি।”
২০১৯ সালে দেশে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ বিদেশী দর্শনার্থী দেখা গেলেও, গত বছর দেশটিতে মাত্র ৩৮ লাখ বিদেশী দর্শক ছিল। তবে ভিয়েতনামে প্রবেশাধীকার পেয়ে যখন গেছেন, এই শীতে ঘুরে আসুন এই সমুদ্রের দেশটিতে।
আরও পড়ুন: ভাইফোঁটা দোরগোড়ায়! এই ৪ লুকে নজর কাড়বেন ভাই-বোন জুটি…