রান্না করতে গিয়ে ফোসকা পড়েছে? এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না
কোনও প্রদাহ থেকে ফোসকা হলে ব্যথা হয়, লালচে ভাব দেখা যায়। জুতোর মাপের গণ্ডগোলের জন্যও ফোসকা পড়ে অনেকের। পুড়ে গিয়ে ফোসকা পড়া খুবই মারাত্মক। আবার ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জ্বর হলে ঠোঁটের কাছে যে জ্বরঠোঁট হয়, তাও কিন্তু এক ধরনের ফোসকা।
রান্না করতে গিয়ে গরম তেল ছিটে এসে ফোসকা পড়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে ফোসকা পড়তে পারে। কারণের উপর নির্ভর করে ফোসকার ধরণ এবং উপসর্গও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কোনও প্রদাহ থেকে ফোসকা হলে ব্যথা হয়, লালচে ভাব দেখা যায়। জুতোর মাপের গণ্ডগোলের জন্যও ফোসকা পড়ে অনেকের। পুড়ে গিয়ে ফোসকা পড়া খুবই মারাত্মক। আবার ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জ্বর হলে ঠোঁটের কাছে যে জ্বরঠোঁট হয়, তাও কিন্তু এক ধরনের ফোসকা। দাদ, চুলকানির সমস্যা থেকে ফোসকা পড়লে তা প্রচণ্ড চুলকায়। ছাল অবধি উঠে যায়। ফোসকা হলে কিছু সতর্কতা যেমন নেওয়া উচিত, তেমন বেশ কিছু কাজ ভুলেও করা উচিত নয়।
অনেক ফোসকা সাধারণত ওষুধ ছাড়া নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। ফোসকা পুঁজপূর্ণ হলে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকলে, অ্যালার্জি, আলোকসংবেদনশীল অথবা পুড়ে যাওয়ার কারণে ফোসকা মারাত্মক আকার ধারণ করলে, মুখের ভেতর বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক জায়গায় ফোসকা হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। চিকেন পক্স, হারপিস জোস্টার বা জ্বর ফোসকার জন্য অ্যান্টিভাইরাল দেওয়া যায়। কর্টিকোস্টেরয়েডস ও ইমিউনিটি মডিউলেটিং ওষুধ অটোইমিউন রোগের কারণে হওয়া ফোসকায় ব্যবহৃত হয়। প্রদাহনাশক ওষুধ ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা হয়। অ্যালার্জিরোধী ওষুধ চুলকানি কমাতে ব্যবহার করা হয়।
নিজে নিজে কোনো ফোসকা ফাটানো, সুই দিয়ে ছিদ্র করা ঠিক নয়। এতে সংক্রমণ হতে পারে। ফোসকা নিজে ফেটে তরল বের হয়ে গেলে এটিকে নরম ড্রেসিং বা আবরণ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।