Relationship Tips: প্রেমিক বড়ই সন্দেহবাতিক, অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি! ব্রেক-আপ ছাড়া কি গতি নেই?

Break-UP: প্রথম থেকেই না বলতে শিখুন। নিজের বক্তব্যে যেন যথেষ্ট জোর আর যুক্তি থাকে। অযথা চিৎকার বা ঝামেলা করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না

Relationship Tips: প্রেমিক বড়ই সন্দেহবাতিক, অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি! ব্রেক-আপ ছাড়া কি গতি নেই?
রাগ, অশান্তি নিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখবেন না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 6:55 PM

আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক চার বছরের। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত আমাদের আলাপ। প্রথম থেকে সম্পর্ক বেশ ঠিকই ছিল। সপ্তাহে দু-তিন দিন নিজেদের সুযোগ মতো দেখা করতাম। আড্ডা দিতাম। গত আট মাস আমি নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছি।  অফিসের কাজের এতই চাপ থাকে যে আমি নিজের জন্য ঠিকমতো সময় করে উঠতে পারি না। অধিকাংশ দিনই অফিস থেকে ফিরতে দেরি হয়। ফলে দেখাও হয় না ঠিক করে। আমার খারাপ লাগলেও করার কিছু থাকে না। নিজের কেরিয়ারের দিকটাও আমাকে দেখতে হবে। সারা সপ্তাহের পরিশ্রমের পর ছুটির দিনে আমি নিজেও ক্লান্ত থাকি। এছাড়াও নিজের কাজ থাকে। তবুও বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করি। একসঙ্গে যতটা সম্ভব বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করি। কয়েকদিন হল বয়ফ্রেন্ড আমায় খুব সন্দেহ করছে। ওর ধারণা, আমার অফিসের কোনও সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। অফিস থেকে ফিরতে দেরি হলেই খারাপ ব্যবহার করে। একদিন দেখি আমার ফোন ঘাঁটছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমার মনে হচ্ছে সম্পর্ক আর টেকানো সম্ভব নয়। এদিকে ব্রেক-আপ করতেও ইচ্ছে করছে না। কী করব? কিছু পরামর্শ দিন

(নাম  প্রকাশে অনিচ্ছুক)

উত্তর-  প্রত্যেকটি মানুষেরই Personal Space থাকে। সেখানে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারোর নেই। মা-বাবা অথবা প্রেমিক/ স্বামী কারোও না। এই বিষয়টি আগে স্পষ্ট করে দিন প্রেমিকের সামনে। সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ, তবে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল আপনার চাকরি। প্রত্যেক মানুষের উচিত সাবলম্বী হওয়া। দ্বিতীয়ত যে কোনও সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। সম্পর্কে যদি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাস না থাকে তাহলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে প্রেমিক আপনাকে যোগ্য সম্মানটুকুও দিচ্ছেন না। প্রতি মুহূর্তে আপনি কারোর কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নন। কেন আপনার অফিসে দেরী হচ্ছে এর ব্যখ্যা প্রেমিককে দিতে যাবেন না।

প্রথম থেকেই না বলতে শিখুন। নিজের বক্তব্যে যেন যথেষ্ট জোর আর যুক্তি থাকে। অযথা চিৎকার বা ঝামেলা করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। বরং তাঁকে সামনে বসিয়ে বোঝান। আপনি কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তা তুলে ধরুন। কথার পিঠে কথা বসালে তর্ক বাড়ে, পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। সময় নষ্ট করা কাজের কাজ কিছু হয় না। ঠাণ্ডা মাথায় বুঝিয়ে যদি কাজ না হয় তাহলে সেই সম্পর্ক জোর করে টিকিয়ে না রাখাই ভাল। প্রত্যেক মানুষ জীবনে শান্তিতে থাকতে চান। অশান্ত মনে কোনও ভালবাসা অবশিষ্ট থাকে না। সম্পর্কে যখন প্রসঙ্গ টাকা হয়ে যায় তখন সেই সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে যায়। নিজেরা প্রাপ্তবয়স্ক। বুঝে সিদ্ধান্ত নিন। আবেগের বশে কোনও কিছু করে ফেললে পরে পস্তাতে হবে।