Weight Loss Tips: পিৎজা, আইসক্রিম খেয়েও রোগা হতে পারবেন! কী ভাবে, জানালেন পুষ্টিবিদ
Weight Loss Tips: রোগা হওয়ার জন্য নিজের সাধের খাবার দাবার ত্যাগ করার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, "ওজন কমানোর ক্ষেত্রে পিৎজা কোনও সমস্যা নয়।"
পিৎজা খেতে কে না ভালবাসেন! ইতালির এই বিশেষ পদের ভক্ত আট থেকে আশি, সকলেই। কিন্তু পছন্দ হলেও রোজ রোজ খাওয়া যায় না পিৎজা বা আরও অনেক খাবার। এর মূল কারণ হল স্বাস্থ্য সচেতনতা। আমাদের অনেকের ধারণা পিৎজা খাওয়া প্রতিদিন শরীরের পক্ষে মোটে ভাল নয়। বিশেষ করে ওজন বাড়াতে পিৎজার অনেক অবদান। তাই ইচ্ছা থাকলেও দূরে থাকতে হয় পিৎজা থেকে। যদিও প্রচলিত এই ধারণার সঙ্গেই কিন্তু একদম ভিন্ন মত পোষণ করছেন পুষ্টিবিদ। এনমামি আগরওয়াল।
নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন রোগা হওয়ার জন্য নিজের সাধের খাবার দাবার ত্যাগ করার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, “ওজন কমানোর ক্ষেত্রে পিৎজা কোনও সমস্যা নয়।”
তাঁর এখন নতুন বছরের রেজোলিউশন নেওয়া উচিত। ওজন কমানোর পাশাপাশি খাবার উপভোগ করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। এনমামি বলেন, “ওজন কমানো মানে নিজেকে সীমাবদ্ধ করা নয়। কেবল সঠিক ভারসাম্যের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বেছে নেওয়াটা প্রয়োজন। পিৎজা বা অনান্য পছন্দের খাবার খেয়েও রোগা হওয়া যায়। কেবল সেই সব খাবারের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য থাকতে হবে।”
নিজের ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে তাঁর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “নতুন বছরের রেজোলিউশন: ভারসাম্যের উপর ফোকাস করুন, বিধিনিষেধে নয়।”
View this post on Instagram
এনমামি আগরওয়ালের মতে ওজন কমানোর যেটা করা প্রয়োজন তা হল “ওজন কমানোর জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ, টেকসই পদ্ধতি তৈরি করে, তাতে মনোনিবেশ করা।” নিজের পছন্দের খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া বা তা নিয়ে অপরাধ ভোগাটা কোনও স্বাস্থ্যকর উপায় হতে পারে না।
তাই বলে যত ইচ্ছা পিৎজা, বার্গার বা আইসক্রিম খেলেও কিন্তু চলবে না। এনমামির মতে পছন্দের যে সব খাবার মোটা হওয়ার কারণ হতে পারে, তা বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। স্বাস্থ্যকত্র খাবার দাবার আর এই সব খাবারের মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকতে হবেম যাতে ফ্যাট জাতীয় বা অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে না যায়।
মুখোরোচক খাবার স্বাস্থ্যকর উপাদান দিয়ে বানালে তাও শরীরের জন্য ভাল। জলপাইয়ের তেল দিয়ে পিৎজার জন্য ময়দা মেখে নিলে তা বেশ ভাল। আরও ভাল হয় যদি ময়দার বদলে গমের আটা ব্যবহার করা যায়। টপিংয়ের জন্য পনির বা সিদ্ধ চিকেন ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবারের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর উপাদান দিয়ে তা প্রতিস্থাপন করে দিলেই, পছন্দের খাবার খেয়েও রোগা হওয়া সম্ভব।