শরীরে একবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে খাওয়া-দাওয়ার উপর রাশ টানা জরুরি। কারণ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে এখান থেকে হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। তবে এমনও কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সহজে বাড়ে না।
ব্রেকফাস্টে এখন অনেকেই ওটসকে বেছে নেন। এই খাবারের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী। কেউ যদি ওজন কমাতে চান, তাহলেও জলখাবারে ওটস খেতে পারেন।
এক গ্লাস দুধের সমান পুষ্টি রয়েছে একটি আপেলে। তাছাড়া প্রতিদিন আপেল খাওয়ার অর্থ হল নিজেকে রোগের হাত থেকে দূরে রাখা। আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। প্রয়োজনে আপনি ওটস ও আপেল দিয়ে পরিজ তৈরি করে খেতে পারেন।
ময়দার তৈরি খাবার ত্যাগ করুন। এর বদলে আটার তৈরি খাবার খান। বার্লি ও অন্যান্য গোটা শস্য দিয়ে তৈরি খাবার কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য বেশি উপকারী। কারণ এর মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
লাঞ্চ হোক বা ডিনারে একবাটি সবজির তরকারি অবশ্যই রাখুন। প্রয়োজনে আপনি ঢেঁড়শ এবং বেগুন দিয়ে তৈরি তরকারি খেতে পারেন। এই সবজিগুলোতে ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে যা শরীরের জন্য ভাল।
কোলেস্টেরল রোগীদের রান্নায় কী ধরনের তেল ব্যবহার করা হচ্ছে এটাও খেয়াল রাখা খুব জরুরি। কারণ রান্না তেল, ঘি, মাখন থেকে বেড়ে যেতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। এই ক্ষেত্রে আপনি অলিভ অয়েল, ক্যানোলা অয়েল, সূর্যমুখীর তেল, তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি যত কম তেল ব্যবহার করবেন, শরীরের জন্য ততই ভাল হবে।