ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে, গবেষণা বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কীভাবে মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো যায়?
প্রথম থেকেই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। লাইফস্টাইলের উপর জোর দিতে হবে। এখন থেকেই নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বশে রাখতে হবে। এমনকী রক্তে শর্করার মাত্রাও ঠিক রাখতে হবে।
এই বিষয়গুলোও উপর নজর দেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু করতে হবে? একদমই না। লাইফস্টাইলে ছোট্ট বদল এনেও আপনি হার্টের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে পারেন। নিয়ন্ত্রণভাবে জীবনযাপন করলে সহজেই রোগ এড়ানো যায়।
হার্টের স্বাস্থ্যের উপর জোর দিতে হবে আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বেশি খেলে চলবে না। আর মিষ্টি সঙ্গে বন্ধু পাতালে ঘোর বিপদ। বরং, যতবেশি তাজা সবজি আর ফাইবার যুক্ত খাবার খাবেন, ততই ভাল।
অলস জীবনযাপন রোগ ডেকে আনে। সুস্থ থাকতে গেলে শরীরচর্চার উপর জোর দিতেই হবে। জিমে গিয়ে দৌড়ানো কিংবা নিয়ম করে জুম্বা ড্যান্স করার দরকার নেই। বাড়ির কাজকর্ম যেমন ঘর মোছা, রান্না করা, বাসন মাজা, বাগানের কাজ করার মাধ্যমেও শরীরচর্চা হয়। খুব বেশি হয়ে নিয়ম করে ৪০ মিনিট হাঁটুন।
শরীরচর্চা করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একবার শরীরে ওবেসিটির ঝুঁকি তৈরি হলে রোগের ঝুঁকিও বাড়তে থাকবে। তাই আপনাকে ওজনকে বশে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন কমাতেই হবে।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। এই দুই অভ্যাস আপনার মধ্যে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। হার্টের পাশাপাশি ফুসফুস, লিভার, কিডনি ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরীরের উপর চাপ বাড়ায় ধূমপান ও মদ্যপান। তাই সুস্থ থাকতে গেলে এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।
মানসিক চাপ কমাতে হবে। স্ট্রেস নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঘুম কম হলে মানসিক চাপ বাড়বে। তার সঙ্গে বাড়বে রক্তচাপ, ডায়াবেটিসে ঝুঁকি। আর এখান থেকে হৃদরোগের আশঙ্কা তৈরি হয়।