
কোনারকের সূর্য মন্দির: ত্রয়োদশ শতাব্দীর এই কোনারক সূর্য মন্দিরটি সূর্য দেবতার প্রতি উৎসর্গীকৃত। কলিঙ্গ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত এই মন্দিরটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, যেখানে সূর্যদেবতা ২৪টি চাকার রথের উপর বসে আছেন। এটি ওড়িশার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন স্থানগুলির মধ্যে একটি।

চাঁদ বাওরি: রাজস্থানের জয়পুর থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে আভানেরি গ্রামেই রয়েছে এই চাঁদ বাওরি। ৮০০ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয় এই সিঁড়ি ঘেরা কুয়ো। এটি একটি ছোট দালান নয় বরং ৩৫০০টি সরু ধাপের সিঁড়ি সহ একটি ১৩ তলা প্রাসাদ। নিকুম্ভ বংশের রাজা চন্দ তৈরি করেছিলেন এই কুয়োটি।

খাজুরাহো: খাজুরাহো হল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ছত্রপুর জেলার খাজুরাহো শহরের নিকটে অবস্থিত প্রাচীন হিন্দু ও জৈন মন্দিরের একটি সমষ্টিক্ষেত্র। এই মন্দির কমপ্লেক্সে ৮০টিরও বেশি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এখন মাত্র ২০টি অবশিষ্ট রয়েছে।

ইলোরা গুহা: ইলোরা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের আওরঙ্গবাদ শহর থেকে ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। রাষ্ট্রকুট রাজবংশ এটি তৈরি করেছিলেন। ভাস্কর্যটি বৌদ্ধ, ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং জৈন ধর্মের মূল্যবোধ এবং দক্ষতার সমন্বয়ে গঠিত। গুহার দেয়ালে পাথরে খোদাই করা ৩০টিরও বেশি মন্দিরের কাঠামো রয়েছে।

হাম্পি: বিজয়নগর সাম্রাজ্যের মহিমা কর্ণাটক রাজ্যে অবস্থিত। এর প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি হল পাথরে খোদাই করা রথগুলি যা বিট্টলা মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। হাম্পি একসময় চতুর্দশ শতাব্দীতে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল, এবং আজ আপনি এখানে ১,৬০০ টিরও বেশি কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ প্রত্যক্ষ করতে পারেন যা ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে রয়েছে।

দ্য গ্রেট ওয়াল অফ ইন্ডিয়া: আপনি নিশ্চয়ই চিনের প্রাচীরের কথা শুনেছেন; তবে আপনি কি জানেন ভারতেও একই রকম প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর রয়েছে। হ্যাঁ, এটি রাজস্থানে অবস্থিত। কুম্ভলগড়ের প্রাচীন দুর্গটির চারপাশে একটি বিশাল প্রাচীর রয়েছে যা দুর্গটিকে রহস্যময় করে তোলে। প্রাচীরের পাশে, ৩০০টিরও বেশি মন্দির রয়েছে। প্রাচীরটি ৩৬ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাচীর।