ছোট্ট পাহাড়ি শহর, কিন্তু তার ওজন অনেক ভারি। নৈনিতাল জেলার অভ্য়ন্চরে কুমায়ুন পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শহরের প্রাণে লুকিয়ে রয়েছে এক অবিশ্বাস্য জাঁকজমকের হাতছানি। আকাশ-ছোঁয়া হিমালয় পর্বতমালা, ঘন সবুজ অরণ্য, সাজানো পাহাড়ি বাগানে ঘেরা মুক্তেশ্বরে গেলে কী কী দেখবেন?
ক্লাইম্বিং, ট্রেকিং, প্যারাগ্লাইডিংয়ের জন্য বিখ্যাত এই জায়গাটিক অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সব পর্যটকেরই মন জয় করে নেয়। প্রকৃতি, রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার, ইতিহাস ও ধর্মের উপযুক্ত মিশেল রয়েছে এখানে।
কোলাহলপূর্ণ শহরের ব্যস্ততা থেকে অনেক দূরে কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করছেন কি এই শীতে? যদি রোম্যান্টিক হোন, তাহলে শীতের ছুটিতে মুক্তেশ্বরের মত রোমাঞ্চপূর্ণ ভ্য়াকেশনকে হাতছাড়া করবেন না।
মুক্তেশ্বর মন্দির: পান্ডবদের নির্বাসিত জীবনের কোনও এক পর্যায়ে এই ঐতিহাসিক মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল বলে অনুমান। প্রাকৃতিক দৃশ্যের মাঝে সুন্দর ভারতীয় ঐতিহ্য়শালী এই মন্দিরটি দর্শন করতেই হবে। সিঁড়ি বেড়ে উপরে উঠে দেখতে পাবেন দূরের শান্ত পাহাড়ি শহরকে।
চাউলি কি জালি : মুক্তেশ্বর মন্দিরের ঠিক পিছনেই রয়েছে চাউলি কি জালি। পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই জায়গা। প্রকৃতিপ্রেমী না হলেও এখানে এলে আপনিও প্রকৃতির প্রেমে হাবুডুবু খাবেন। সঙ্গে রয়েছে হিমালয়ের বৈচিত্র্য, প্যারাগ্লাইডিংয়ের হাতছানি।
ভালুগাদ জলপ্রপাত: গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে এই জলপ্রপাতের নীচে। প্রকৃতির কোলে এমন অবিশ্বাস্যকর সৌন্দর্য আপনাকে শিহরণ জাগিয়ে মুগ্ধ করবে অনায়াসে। ট্রেকিং যারা করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য় এই জায়গাটি আদর্শ। প্রাকৃতিক দৃশ্যের মাঝে যারা সময় কাটাতে চান, মুক্তেশ্বর এলে অবশ্যউ ঘুরে যাবেন।
সিটলা: মুক্তেশ্বর মন্দিরের কাছাকাছি আরও একটি আকর্ষণীয় হিল স্টেশন সিটলা। অসংখ্য ঔপনিবেশিক সুন্দর সুন্দর বাংলো রয়েছে এখানে। ভ্রমণকারীদের জন্য মনোমুগ্ধকর একটি জায়গা। হাইকিং. ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা পেতে এই গন্তব্যস্থল হল আদর্শের।
রামগড়: ঘন সবুজে ঘেরা বাগান, দূরে তুষারাবৃত্ত পাহাড়ের অনবদ্য দৃশ্য যে কোনও রোম্যান্টিক মনের মানুষের মন জয় করে নেবে রামগড়। শহরের অশান্তময় জীবন থেকে অনেক অনেক দূরে এই জায়গাটিতে উইকেন্ডে সময় কাটানোর জন্য সেরা জায়গা বলে মানা হয়।