‘বাউজি’র চরিত্রটি নিজের বাবা নিহালচন্দ পুরীর মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন অমরীশ। আদিত্য চোপড়াকে বাবার ছবিও দেখান এবং স্ক্রিনে বাবাকে হুবহু নকল করেন অমরীশ।
দুই অভিনেতা দাদা মদন পুরী এবং চমন পুরীর জুতোয় পা গলান অভিনেতা, তবে প্রথম স্ক্রিন টেস্টে সফল হননি। এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনে চাকরি করতে শুরু করেন অমরীশ।
কেরিয়ার শুরু ১৯৭০ সালে। তখন অমরীশের বয়স চল্লিশ। ছবির নাম ছিল ‘প্রেম পূজারী’।
১৯৮৮ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য টেম্পল অফ ডুম ’ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন।
আমেরিকার কাস্টিং এজেন্টরা যখন পুরীর সঙ্গে দেখা করতে ভারতে এসেছিলেন, তিনি মোলার রামের ভূমিকায় অডিশন দিতে অস্বীকার করেছিলেন পরিবর্তে তাঁদেরকে নতুন ফিল্মের অমরীশের অভিনয় দেখতে বলেছিলেন।
স্পিলবার্গ এক চিঠিতে অমরীশকে লেখেন, “মিস্টার অমরীশ পুরী আপনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিলেন এবং এটা কেউ বদলাতে পারবে না।”
টম অ্যন্ড জেরি কার্টুনের প্রতি অবসেসড ছিলেন। ঘন্টার পর ঘন্টা দেখে যেতেন শো।
বর্ধন পুরী তাঁর প্রয়াত ঠাকুরদাকে একজন 'সৌম্য স্বভাবের দৈত্য' হিসাবে বর্ণনা করেন। পারিবারিক, সুশৃঙ্খল এবং একজন নিবেদিত শিল্পী। বর্ধন আরও বলেন যে তিনি ভাবতেন যে অমরীশ ‘সিরিয়াস’ এবং ‘অ্যাংরি’কিন্তু বাস্তবে তিনি ছিলেন একেবারে বিপরীত।