Mushroom: আপনার শীতের খাদ্যতালিকায় এই ‘সুপারফুড’ আছে তো?
শীতকালের সবচেয়ে ভাল বিষয় হল এই সময় বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ফল পাওয়া যায়। সেগুলি যেমন সুস্বাদু হয়, তেমনই স্বাস্থ্যকর হয়। এরকমই একটি সুপারফুড হল মাশরুম। আপনি শীতের ডায়েটে অনায়াসে মাশরুমকে যোগ করতে পারবেন। কিন্তু তার আগে এর স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি দেখে নিন...
ভরপুর পুষ্টি, কম ক্যালোরির 'সুপারফুড' হল মাশরুম। এর অনন্য স্বাদ একে আরও জনপ্রিয় করে তোলে। প্রায়শই স্যুপ, পিজ্জা, সবজির তররাকি বা পাস্তাতে এই মাশরুমের টুকরোগুলি এক অন্য আলাদা মাত্রা যোগ করে। এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন বি , ভিটামিন ডি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রোবায়োটিকের পর্যাপ্ত বৈশিষ্ট্য।
1 / 6
হতাশার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে মাশরুম। হতাশার মতো মানসিক স্বাস্থ্য রোগের সঙ্গে খাদ্যের সম্পর্ক খুব কমই। গবেষণার মতে, ভিটামিন বি ১২ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মতো মাশরুমে জৈব সক্রিয় যৌগগুলি মানুষের মধ্যে বিষন্নতা হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে।
2 / 6
আপনি যদি মাশরুমপ্রেমী হন তবে এটি আপনার জন্য একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত হবে। মাশরুমের ঔষধি গুণাবলী যেমন বায়োঅ্যাকটিভস এবং বিটা-গ্লুকান দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাশরুমের যৌগগুলি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে রোগ নিরাময় এবং পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। ফ্লু সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা করে এই খাবার।
3 / 6
ভাল এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সংমিশ্রণেই একটি সুস্থ অন্ত্র তৈরি হয়। যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। মাশরুমও এই ক্ষেত্রে উপযোগী হতে পারে। উচ্চ ফাইবার সামগ্রী এবং প্রোবায়োটিকস-সহ, মাশরুম ভাল এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং হজমের ক্ষমতাকেও সুস্থ রাখার সহায়তা করে।
4 / 6
ডায়বেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে মাশরুম খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বিশেষ জাতের মাশরুম অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে অনুকূলভাবে পরিবর্তন করে এবং অগ্ন্যাশয়কে ইনসুলিন মুক্ত করার নির্দেশ দেয়। যার ফলে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত হয়।
5 / 6
শীতে সূর্যের আলোর জোর থাকে না বেশি। কিন্তু ভিটামিন ডি পূরণে সাহায্য করতে পারে মাশরুম। মাশরুম পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ থাকে, যা হাড়, দাঁত এবং পেশীগুলিকে একইভাবে শক্তিশালী ও পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাশরুম আপনার দৈনন্দিন ভিটামিন ডি চাহিদার ৫০ থেকে ১০ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে।
