স্বাদে সুস্বাদু হলেও, গুলকান্দ একটি অসম্ভব মিষ্টি জাতীয় একটি খাবার। মোরাব্বা বা জেলির মত দেখতে , গোলাপের পাপড়ি ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় এই গুলকন্দ। রেসিপির উত্পত্তি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে এটি যে খাঁটি ভারতীয় একটি মশলা তা জোর দিয়ে বলা যায়। এছাড়া আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্যকর মশলা হিসেবেও পরিচিত
গুলকান্দ একটি আয়ুর্বেদিক টনিক বলা যেতে পারে। মানবসমাজে সবচেয়ে সুস্বাদু আয়ুর্বেদিক মশলা। প্রাকৃতিক ক্যালসিাম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এতে। সারা বছর এই মশলা পাবেন দেশের সর্বত্র। এর কিছু আয়ুর্বেদিক উপকারিতা রয়েছে। সেগুলি জেনে নিন...
অ্যাসিড, গ্যাস্ট্রাইটিস, ত্বকের যত্ন, বদহজম, আলসার ও নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মানসিক চাপ কমাতে গুলকন্দের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
চুলকানি, ফোঁড়া, ফোসকা, বলিরেখা এবং ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য গুলকন্দ ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি প্রাকৃতিক এজিং ট্রিটমেন্টের জন্যও কাজে লাগে।
এনার্জি বুস্টার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মশলা হিসেবে পরিচিত এই গুলকান্দ। নিয়মিত খেলে মারাত্মক আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হার্টের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।
গ্রীষ্মকালে গুলকন্দের ব্যবহার সান স্ট্রোক, নাক দিয়ে রক্ত পড়া এবং মাথা ঘোরা প্রতিরোধে সাহায্য করে। শরীরের মেটাবলিজমকে সুস্থ ও ফিট রাখে।
ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত, তলপেটে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে গুলকান্দ অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে গ্লুকোজ সরবরাহ করতে সাহায্য করে। অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে, অ্যাসিডিটি কমাতে ও রক্তের ভাল পরিশোধক হিসেবে অপরিহার্য। শরীরের শক্তি জোগাতেও দারুণ উপকারী।