TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Mar 16, 2022 | 5:40 PM
বসন্ত এখন ডালে ডালে, পাতায় পাতায়। সামনেই আছে বছরের সবচেয়ে রঙিন উত্সব। হোলি মানেই প্রচুর রঙ, নানান স্বাদের খানা-পিনা। সুস্বাদু গুজিয়া, ঠান্ডাইয়ের স্বর্গীয় স্বাদ তো থাকেই। হোলির দিন বাচ্চারা যখন রঙ নিয়ে খেলে, তখন বাড়ির বড়রা হোলি পার্টির ব্যবস্থায় মজে থাকে।
জিভে জল আনা খাবার ছাড়া হোলির পার্টি অসম্পূ্র্ণ। ঠান্ডাই , গুজিয়া, মালপোয়া, কচুরি, দহি বড়া, নিমকি, আরও অনেক কিছু থাকে। হোলির উত্সব হল এমন একটি উত্সব যার মধ্যে রঙিন মেজাজ যেমন থাকেস তেমনি রয়েছে অগণিত মুখরোচক খাবার।
তবে এই সব প্রচলিত খাবারের মধ্যে অনেকেই ভুলে যান কাঞ্জির কথা। হোলির বিশেষ খাবার এটি। রাই কা পানি কাঞ্জি বলা হয় এতে। এটি একটি বাসি বা পচানো পানীয়, যা শুনতে খারাপ লাগলেও, এর স্বাদ অতুলনীয়।
কাঞ্জি বড়া- একটি ক্লাসিক স্ট্রিট ফুড। রাজস্থান এবং গুজরাট জুড়ে একটি ঐতিহ্যবাহী হোলি পানীয় তৈরি করে। খাস্তা উরদ ডাল বড়াকে দুদিন রেখে যখন স্বাদে টক হয়ে যায়, তখন সেটি রাই কা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। তাতে পানীয়র স্বাদ অনন্য হয়ে ওঠে। ঠান্ডা ঠান্ডা কাঞ্জি বড়া খান।
গাজর কাঞ্জি- নোনতা, টক জাতীয় পানীয় যাঁদের পছন্দ তাঁরা গাজর কাঞ্জি তৈরি করতে পারেন। গাজর, সরষে ও নুন দিয়ে তৈরি এই সুস্বাদু পানীয়টি হোলির জন্য পারফেক্ট। প্রথমে গাজরটিকে জলে সিদ্ধ করে তাতে সরষে ও নুন দিন। এরপর ৩-৪দিন রোদে শুকোতে দিন।
বেরি কাঞ্জি- ঐতিহ্যবাহী গাজর ব্যবহার না করে, বেরি দিয়ে পানীয় তৈরি করতে পারেন। ঠান্ডা বেরি ও মশলা দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর সেটি একটি জায়গায় রেখে ৩-৪দিন রেখে দিন।
দই কাঞ্জি- একটি ঐতিহ্যবাহী ওড়িয়া রেসিপি। দহি কাঞ্জি ঐতিহ্যগতভাবে চালের জল, দই, সবজি এবং কিছু মশলা দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। প্রথমে চালের জলে শাকসবজি সিদ্ধ করতে হবে এবং তারপরে এতে মশলাযুক্ত দই যোগ করতে হবে। সরিষা এবং কারি পাতার তড়কা যোগ করুন।
বিটরুট-গাজর কাঞ্জি- মূলত গাজর কাঞ্জির সঙ্গে বিট যোগ করে পানীয়টি তৈরি করা হয়। সরষের গুঁড়ো, নুন ও লাল লঙ্কার সঙ্গে ৩-৪দিনে পচানো বিট ও গাজর মেশানো হয়।