টক দই- টক দই ব্যথা বা যন্ত্রণা থেকে উপশম দিতে সাহায্য করে। এই দুগ্ধজাত পণ্যটি মধ্যে প্রোবায়োটিক্স রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ঋতুস্রাবের সময় হওয়া পেটের খিঁচুনি থেকে আরাম দেয় টক দই। এর জন্য আপনি প্রতিদিন এক বাটি করে টক দই খান।
লবঙ্গ- এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি দাঁতের ব্যথা উপশম করতে এবং মৌখিক এবং মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। দাঁতে ব্যথা হলে, দুটি লবঙ্গ পিষে নিন, গুঁড়োটি সামান্য অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে সরাসরি প্রভাবিত স্থানে প্রয়োগ করুন। তাৎক্ষনিক আরাম পাওয়ার জন্য আপনি এক টুকরো লবঙ্গও চিবিয়ে নিতে পারেন।
হলুদ- কারকিউমিন, যা হলুদের সক্রিয় উপাদান, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে। এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা জয়েন্ট এবং পেশীবহুল ব্যথা উপশম করতে এবং ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
রসুন- রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যগুলি এটি একটি আশ্চর্যজনক নিরাময় এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। যে কোনও সংক্রমণ এবং ব্যথা থেকে উপশম পেতে রসুন দারুণ কার্যকর। ব্যথা থেকে উপশম পেতে আপনি রসুন তেল ব্যবহার করতে পারেন।
আদা- আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি পেশীর ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, পেটে ব্যথা, বুকে এবং মাসিকের ব্যথা থেকে ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা চায়ে চুমুক দিলে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও আদা কাশি, গলা ব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের সমস্যাকে দূর করতে সহায়ক।
পুদিনা পাতা- পুদিনার পাতা পেশীর ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, মাথা ব্যাথা এবং স্নায়ুর ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে। এর থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যথা বা ক্র্যাম্পের ক্ষেত্রে পেশী এবং স্নায়ুকে শিথিল করতে সহায়তা করে।
এপসম সল্ট- এপসম লবণ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে কাজ করে, কারণ এটি অন্ত্রের পেশীগুলি সংকুচিত করতে সহায়তা করে। এক কাপ জলে বা ফলের রসে দুই চা চামচ এপসম লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। উপরন্তু, লবণের ম্যাগনেসিয়াম পেশী শিথিলতা এবং নিরাময়কে উৎসাহিত করে। এই কারণে স্পা করার সময় এপসম লবণ ব্যবহার করা হয়।