ডিমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। সেই সঙ্গে ডিম যতখানি পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারে তা কিন্তু অন্য কোনও খাবার পারে না। তবে ঠিক কোন বয়স পর্যন্ত ডিম খাওয়া উচিত? এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। হজমের সমস্যার জন্য এবং হাই প্রোটিনের জন্য অনেকেই ডিম এড়িয়ে চলতে চান। ২০১৬- সালের একচি গবেষণায় যেমন বলা হয়েছিল সব বয়সের সব মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা উচিত। কারণ ডিম আমাদের পেশির কার্যকারিতা ঠিক রাখে। ডিম না খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।
একট সিদ্ধ ডিমের মধ্যে রয়েছে ৭৭ ক্যালোরি। 0.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫.৩ গ্রাম চর্বি, ২১২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন বি৫, ফসফরাস এবং সেলেনিয়াম। অ্যামাইনো অ্যাসিডের অন্যতম উৎসও কিন্তু ডিম।
৪০ পেরোলেই একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে শরীরে। ফলে সেই সময় থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। মেয়েদের ক্ষেত্রে হাড় দুর্বল হয়। আর তাই এই সময় কিন্তু ডিম এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। বরং নিয়ম করে রোজকার ডায়েটে রাখা দরকার ডিম। প্রয়োজনে কুসুম এড়িয়ে চলুন।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৪০ পেরোলে সপ্তাহে অন্তত ৭ টা ডিম খাওয়া উচিত। বিনা দ্বিধায় খেতে পারেন রোজ একটা করে ডিম। এতে কোনও রকম অসুবিধে হয় না। বরং শরীর থাকে সুস্থ। যাঁদের কোলেস্টেরল সীমার মধ্যে রয়েছে তাঁরা অবশ্যই খান।
প্রোটিন ও ভিটামিনের খুব ভাল উৎস ডিম। তবে ভাজা বা পোচের থেকে সিদ্ধ খাওয়া ভাল। এছাড়াও একেবারে কম তেলে বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্র্যাম্বেলড এগ।