Chhath Puja 2023: প্রথমবার ছট পুজো করছেন? এই ৫ জিনিস ছা়ড়া সূর্যদেব ও ছঠি মাইয়ার পুজো ও উপবাস অসম্পূর্ণ
Hindu Rules: হিন্দুমতে, ছটপুজোর সামগ্রীতে রয়েছে ভিন্ন সব জিনিস। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পুজোর সামগ্রীতে এই ৫ জিনিস না থাকলে ছট পুজো ও উপবাস রাখা অসম্পূর্ণ। এমনকি পুজোর সময় বিশেষ কাজ বা প্রতিকার না মানলে পুজো ও উপবাস রাখাই বৃথা হয়ে যেতে পারে। ছট পুজোর নিয়ম ও উপকরণ নিয়ে পুরোটা জেনে নিন এখানে..
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, আগামী ১৭ নভেম্বরে থেকেই শুরু হবে ছটপুজো। টানা চারদিনের উত্সবের সূচনা হয় নাহায়-খায় রীতির মাধ্যমে। এদিন নিয়ম মেনে ও নিষ্ঠাভরে ছঠি মাইয়া ও সূর্যদেবের পুজো করা হয়। প্রথা অনুসারে , এদিন ১৮ ঘণ্টা ও তারও বেশি সময় ধরে নির্জলা উপবাস রাখা নিয়ম। অনেকসময় ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপবাস রেখে সূর্যদেবের পুজো করা হয়ে থাকে এদিন।
ছট পুজোর সময় নির্জলা উপবাস রেখে সূর্যাস্তের পর গঙ্গার জলে গিয়ে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। যে উপবাস রাখেন, তিনি কখনও কোনওভাবেই খাবারে একটি কণাও খেতে পারেন না। এমনকি এক বিন্দু জল খাওয়া নিষিদ্ধ। ছট পুজোর নীতি-বীধি, নিয়ম অন্যান্য উপবাসের থেকে একদম আলাদা।
হিন্দুমতে, ছটপুজোর সামগ্রীতে রয়েছে ভিন্ন সব জিনিস। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পুজোর সামগ্রীতে এই ৫ জিনিস না থাকলে ছট পুজো ও উপবাস রাখা অসম্পূর্ণ। এমনকি পুজোর সময় বিশেষ কাজ বা প্রতিকার না মানলে পুজো ও উপবাস রাখাই বৃথা হয়ে যেতে পারে। ছট পুজোর নিয়ম ও উপকরণ নিয়ে পুরোটা জেনে নিন এখানে...
ছট পুজোর সূচনা হয় নাহায়-খায় পর্বের মধ্যে দিয়ে। প্রথম দিনে করলা, ছোলার ডাল ও ভাত নিবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ। উপবাস যারা রেখেছেন, তাঁরা নাহায়-খায়ের দিনে খাবারে তা গ্রহণ করা উচিত। এই খাবারটি প্রত্যেক উপবাসকারীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
ছঠি মাইয়ার পুজো করা সময় ছট পূজার সময়, উপবাসকারী বিবাহিত মহিলারা হলুদ রঙের বিশেষ সিঁদুর লাগিয়ে থাকেন। হলুদ সিঁদুরকে ভাকরা সিঁদুরও বলা হয়। সিঁদুর হল সৌভাগ্যের প্রতীক । পুজো শেষে বিবাহিতারা প্রতিটি উপবাসের সময় সিঁদুর ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া বাঁশের কঞ্চি, নয়া গম শস্য, চাল। এগুলি ঠেকুয়া বানানোর সময় দরকার পড়ে।
ছট পুজোয় প্রসাদের প্রধান অংশ হল ঠেকুয়া। ময়দা, কলা ও আরও অনেক উপাদান দিয়ে বানানো হয় সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ঠেকুয়া। এই ঠেকুয়া বেশ জনপ্রিয়ও বটে। তাই প্রসাদের মধ্যে ঠেকুয়া রাখা আবশ্যেকি। ছট পুজোর দ্বিতীয় দিন খরনার দিনে কলা অবশ্যই রাখতে হবে। ব্রতী বানান খরনার দিনে। ছট পুজোয় কলা অবশ্যই রাখা উচিত।
ছট পুজোয় প্রচুর কিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয়। ছট পুজোয় নারকেল ও নারকেলের জল থাকা বাধ্যতামূলক। নারকেল ছাড়া সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করা যায় না। সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করার সময় জলেরমধ্যে নারকেল ও অন্যান্য উপাদান রেখে ছঠি মাইয়া ও সূর্যদেবকে জল দিয়ে অর্ঘ্য নিবেদন করার নিয়ম রয়েছে।
ছট আরাধনার সময় সূর্যকে অর্ঘ্য অর্পণ করা বাধ্যতামূলক। সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করার সময় আখ দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আখ নিবেদন ছাড়াও পুজো অসম্পূর্ণ থাকে। খরনার পরের দিন অস্তগামী, এটি ছাড়া আপনার পূজা সম্পূর্ণ হতে পারে না। খরনার পরের দিন অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ দেওয়া হয় ও পরদিন সকালে সূর্যোদয়ের সময় সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়।
এছাড়া জল, দুধ, পাত্র, গ্লাস, প্লেট, গুড়, চিনি, মিষ্টি, মধু, কালো ছোলা, সুজি, ময়দা, ধূপকাঠি, সিঁদুর, কর্পূর, হলুদ সিঁদুর, চন্দন, অক্ষত, ডাব বা বড় লেবু, কলা, নাশপাতি, আতা, মুলো, মিষ্টি আলু, মাটির বাতি, চতুর্মুখী প্রদীপ, সরষের তেল, হলুদ, আদা গাছ, ৫ বা ৭টি সোজা ও লম্বা আখ, পান প্রভূতি ছাড়া ছট মাইয়ার পুজো অসম্পূর্ণ থাকে।