Suicide Pod: সুখে মরতে চাইলে ৫ মিনিটেই মৃত্যু, মিলল সরকারি অনুমোদনও

সোমনাথ মিত্র | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 20, 2024 | 4:56 PM

Suicide Pod: মৃত্যুযন্ত্রটির নাম ‘সারকো ক্যাপসুল’। ফিলিপ নিটস্কে এই যন্ত্রটির আবিষ্কার কর্তা। মজা করে তাঁকে ডক্টর ডেড বলে ডাকেন কেউ কেউ। মিশরের কফিন সারকোফেগাসের নামে এই মৃত্যুযন্ত্রটির নাম।

1 / 8
ইচ্ছামৃত্যুকে সহজ করতে আরও একধাপ এগোলো সুইৎজারল্যান্ড। ২০১৯ সালেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল একটি অত্যাধুনিক মৃত্যু-যন্ত্র। ছোট্ট, ছিমছাম। অনেকটা কফিনের মতো। নিজেই ওই যন্ত্রের ভিতর ঢুকে শুয়ে পড়ে বাটন টিপলেই মিনিট খানেকের মধ্যেই মৃত্যুপুরীতে প্রবেশ করে যাবেন।  অনেক গবেষণার পর আপনাকে মৃত্যুর ওপারে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন প্রস্তুত ওই মৃত্যুযন্ত্র।

ইচ্ছামৃত্যুকে সহজ করতে আরও একধাপ এগোলো সুইৎজারল্যান্ড। ২০১৯ সালেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল একটি অত্যাধুনিক মৃত্যু-যন্ত্র। ছোট্ট, ছিমছাম। অনেকটা কফিনের মতো। নিজেই ওই যন্ত্রের ভিতর ঢুকে শুয়ে পড়ে বাটন টিপলেই মিনিট খানেকের মধ্যেই মৃত্যুপুরীতে প্রবেশ করে যাবেন। অনেক গবেষণার পর আপনাকে মৃত্যুর ওপারে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন প্রস্তুত ওই মৃত্যুযন্ত্র।

2 / 8
মৃত্যুযন্ত্রটির নাম ‘সারকো ক্যাপসুল’। ফিলিপ নিটস্কে এই যন্ত্রটির আবিষ্কার কর্তা। মজা করে তাঁকে ডক্টর ডেড বলে ডাকেন কেউ কেউ। মিশরের কফিন সারকোফেগাসের নামে এই মৃত্যুযন্ত্রটির নাম। কিছু দিনের মধ্যেই যন্ত্রটি নিয়ে আসা হবে। বলাবহুল্য, সুইৎজারল্যান্ড সরকার ২০১৯ সালেই এই যন্ত্র ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে।

মৃত্যুযন্ত্রটির নাম ‘সারকো ক্যাপসুল’। ফিলিপ নিটস্কে এই যন্ত্রটির আবিষ্কার কর্তা। মজা করে তাঁকে ডক্টর ডেড বলে ডাকেন কেউ কেউ। মিশরের কফিন সারকোফেগাসের নামে এই মৃত্যুযন্ত্রটির নাম। কিছু দিনের মধ্যেই যন্ত্রটি নিয়ে আসা হবে। বলাবহুল্য, সুইৎজারল্যান্ড সরকার ২০১৯ সালেই এই যন্ত্র ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে।

3 / 8
কীভাবে কাজ করে এই যন্ত্রটি? খুবই সহজ। যন্ত্রটির ভিতর শুয়ে পড়ে সুইচ টিপলে আপনাকে বেশ কিছু অটোমেটেড প্রশ্ন করবে। যেমন, আপনার নাম, বাড়ির ঠিকানা। উত্তর দেওয়ার পর যন্ত্রের ভিতর আস্তে আস্তে অক্সিজেনের পরিবর্তে নাইট্রোজেন বের হতে থাকবে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার স্নায়ু শিথিল করে দেবে। কোনও যন্ত্রণা অনুভব করতে পারবেন না।

কীভাবে কাজ করে এই যন্ত্রটি? খুবই সহজ। যন্ত্রটির ভিতর শুয়ে পড়ে সুইচ টিপলে আপনাকে বেশ কিছু অটোমেটেড প্রশ্ন করবে। যেমন, আপনার নাম, বাড়ির ঠিকানা। উত্তর দেওয়ার পর যন্ত্রের ভিতর আস্তে আস্তে অক্সিজেনের পরিবর্তে নাইট্রোজেন বের হতে থাকবে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার স্নায়ু শিথিল করে দেবে। কোনও যন্ত্রণা অনুভব করতে পারবেন না।

4 / 8
যন্ত্রটির আবিষ্কারকর্তা ফিলিপ বলছেন, মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ২১ শতাংশ থেকে ০.০৫ শতাংশে নেমে আসবে অক্সিজেনের মাত্রা। খুব সহজেই অবচেতন অবস্থায় নিয়ে যাবে আপনাকে। যন্ত্রণার পরিবর্তে সুখানুভূতি তৈরি হবে। মৃত্যু যে এত আনন্দের এবং সুখের কখনও আমরা ভাবিইনি। এমনটাই দাবি ফিলিপের।

যন্ত্রটির আবিষ্কারকর্তা ফিলিপ বলছেন, মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ২১ শতাংশ থেকে ০.০৫ শতাংশে নেমে আসবে অক্সিজেনের মাত্রা। খুব সহজেই অবচেতন অবস্থায় নিয়ে যাবে আপনাকে। যন্ত্রণার পরিবর্তে সুখানুভূতি তৈরি হবে। মৃত্যু যে এত আনন্দের এবং সুখের কখনও আমরা ভাবিইনি। এমনটাই দাবি ফিলিপের।

5 / 8
এই যন্ত্রের মাধ্যমে মরতে গেলে আপনাকে খরচ করতে ১২০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র ১০ হাজার টাকা। এই যন্ত্রের প্রথম মরার ‘সৌভাগ্য’ কার, এখনও জানা যায়নি। তবে, এই ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করতে চাইছে না স্বেচ্ছামৃত্যু কার্যকর করা সংস্থা লাস্ট রিসর্টসের অ্যাডভাইজরি বডি।

এই যন্ত্রের মাধ্যমে মরতে গেলে আপনাকে খরচ করতে ১২০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র ১০ হাজার টাকা। এই যন্ত্রের প্রথম মরার ‘সৌভাগ্য’ কার, এখনও জানা যায়নি। তবে, এই ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করতে চাইছে না স্বেচ্ছামৃত্যু কার্যকর করা সংস্থা লাস্ট রিসর্টসের অ্যাডভাইজরি বডি।

6 / 8
সারকো ক্যাপসুল তৈরি করতে ১২ বছর সময় লেগেছে। খরচ হয়েছে ৭.১০ লক্ষ ডলার। আগামি দিনে এক সঙ্গে দু’জনের মৃত্যুর জন্য সারকো ক্যাপসুল তৈরি পরিকল্পনা রয়েছে দ্য লাস্ট রিসর্টের। দ্য লাস্ট রিসর্ট জানিয়েছে, সারকো ক্যাপসুল পোর্টাবেল। প্রয়োজনে বাড়িতে যন্ত্রটি নিয়ে গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটানো যেতে পারে।

সারকো ক্যাপসুল তৈরি করতে ১২ বছর সময় লেগেছে। খরচ হয়েছে ৭.১০ লক্ষ ডলার। আগামি দিনে এক সঙ্গে দু’জনের মৃত্যুর জন্য সারকো ক্যাপসুল তৈরি পরিকল্পনা রয়েছে দ্য লাস্ট রিসর্টের। দ্য লাস্ট রিসর্ট জানিয়েছে, সারকো ক্যাপসুল পোর্টাবেল। প্রয়োজনে বাড়িতে যন্ত্রটি নিয়ে গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটানো যেতে পারে।

7 / 8
মূলত, কাদের জন্য তৈরি এই সারকো ক্যাপসুল? তার আগে জানতে হবে, সুইৎজারল্যান্ডের স্বেচ্ছামৃত্যু আইনের নিময়। ১৯৪১ সালেই সুইৎজারল্যান্ডে স্বেচ্ছামৃত্যু আইনি স্বীকৃতি পায়। অ্যাকটিভ ইউথানাসিয়া অর্থাৎ নিজেই নিজের মৃত্যু ডেকে আনা বেআইনি সুইৎজারল্যান্ডে কিন্তু অ্যাসিটেট সুইসাইড বৈধ যেখানে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটানো হয়।

মূলত, কাদের জন্য তৈরি এই সারকো ক্যাপসুল? তার আগে জানতে হবে, সুইৎজারল্যান্ডের স্বেচ্ছামৃত্যু আইনের নিময়। ১৯৪১ সালেই সুইৎজারল্যান্ডে স্বেচ্ছামৃত্যু আইনি স্বীকৃতি পায়। অ্যাকটিভ ইউথানাসিয়া অর্থাৎ নিজেই নিজের মৃত্যু ডেকে আনা বেআইনি সুইৎজারল্যান্ডে কিন্তু অ্যাসিটেট সুইসাইড বৈধ যেখানে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটানো হয়।

8 / 8
২০১৪ সালের একটি রিপোর্ট বলছে. সেই বছর ৭৫২ জন ইচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছেন যাঁর মধ্যে মহিলা ৪২২ জন। বয়সজনিত কারণে অনেকেই বাঁচার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেন বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে কোমায় থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ইচ্ছামৃত্যু প্রযোজ্য। ভারতেও প্যাসিভ ইউথানাসিয়া বৈধ রয়েছে। ২০১১ সালের অরুণা শানবাগ-সহ একাধিক মামলার পর পরোক্ষ ইচ্ছামৃত্যুকে বৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৪ সালের একটি রিপোর্ট বলছে. সেই বছর ৭৫২ জন ইচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছেন যাঁর মধ্যে মহিলা ৪২২ জন। বয়সজনিত কারণে অনেকেই বাঁচার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেন বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে কোমায় থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ইচ্ছামৃত্যু প্রযোজ্য। ভারতেও প্যাসিভ ইউথানাসিয়া বৈধ রয়েছে। ২০১১ সালের অরুণা শানবাগ-সহ একাধিক মামলার পর পরোক্ষ ইচ্ছামৃত্যুকে বৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট।

Next Photo Gallery