Cancer Warning Signs: কর্কট রোগ থেকে সাবধান! এই ৫টি লক্ষণ দেখলে কোনওভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Nov 24, 2022 | 11:40 AM
Symptoms of Cancer: প্রাথমিক দিকে বা একটু আগে ক্যান্সার ধরা পড়লে তার খুব ভালো চিকিৎসা রয়েছে। রোগী সুস্থও হয়ে যান। তবে সবচাইতে আগে দরকার অসুখটির আগাম উপসর্গগুলিকে চেনা ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।
1 / 11
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য জন্য এখন আধুনিক বহু রোগনির্ণয়ক পরীক্ষা আছে। শুধু দরকার সচেতনতা। অর্থাৎ ক্যান্সারের আক্রমণ হলে প্রথমদিকে আমাদের শরীরে নানাবিধ উপসর্গ প্রকাশ পায়। এই ধরনের উপসর্গগুলির দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।
2 / 11
অবশ্য উপসর্গগুলি দেখা দিচ্ছে মানেই যে ক্যান্সার হয়েছে এমন নয়। তবে সতর্ক থেকে জরুরি পরীক্ষাগুলি করিয়ে নিলে রোগ বেড়ে ওঠার আগে অসুখ ধরা পড়বে ও চিকিৎসা শুরু করা যাবে।
3 / 11
১) দ্রুত ওজন কমা: কোনও কারণ ছাড়াই খুব কম সময়ের মধ্যে দৈহিক ওজন অনেকখানি কমে গেলে সাবধান হন।
4 / 11
২) ক্লান্তি: সারাদিন কাজ করার পরে শরীরে যে ক্লান্তি দেখা দেয় তেমন ক্লান্তি নয়। ক্যান্সারের কারণে হওয়া ক্লান্তির উপসর্গ একটু আলাদা। কাজ কার পর ক্লান্তি আসলে তা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলেই কেটে যায়। তবে সারাদিনই ঝিমুনিভাব, কোনও কিছুতেই উৎসাহ না পাওয়া ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। কারণ শরীরে খাদ্যের মাধ্যমে প্রবেশ করা নানা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ চুরি করে বেড়ে উঠতে থাকে ক্যান্সার কোষগুলি। ফলে দেহে প্রকৃত পুষ্টির অভাব ঘটে। সেই কারণেই দেখা দেয় ক্লান্তি ও ঝিমুনিভাব।
5 / 11
অবশ্য ক্লান্ত এবং অবসন্ন বোধ করার পিছনে আরও নানা কারণ থাকতে পারে। আর তার সব কারণগুলির সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। তবে ক্লান্তি দেখা দিলে এবং রোজকার জীবনযাপনে ক্লান্তি সমস্যা তৈরি করলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
6 / 11
৩) জ্বর: ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বরও হয়। ভাইরাল ফিভার সাধারণত তিন থেকে পাঁচদিনে সেরে যায়। এমন হলে চিন্তার কিছু নেই। তবে অল্প দিনের অন্তরে বারংবার জ্বর আসলে এই উপসর্গের সঙ্গে ক্যান্সারের যোগ থাকতে পারে। তাই ঘনঘন জ্বর আসলে কতকগুলি বিষয়ের দিকে নজর দিন— • রাতের দিকে জ্বর আসছে কি না। • সংক্রমণের অন্য কোনও লক্ষণ নেই। • রাতে ঘুমের মধ্যে ঘাম হচ্ছে কি?
7 / 11
৪) যন্ত্রণা: একাধিক অসুখের উপসর্গ হতে পারে ব্যথা। রোগগুলির সঙ্গে হয়তো ক্যান্সারের যোগও থাকে না। তবে একটানা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হওয়া এবং তার কোনও নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলে সতর্ক হতে হবে। এই ধরনের ব্যাখ্যাতীত ব্যথার সঙ্গে ক্যান্সারের যোগ থাকতে পারে।
8 / 11
ক্যান্সারজনিত ব্যথার কিছু বৈশিষ্ট্যও থাকে— • শরীরে কোনও জায়গায় টিউমারের মতো ফোলা অংশ তৈরি হওয়া। টিউমার হাত দিলে ব্যথা বোধ হতে পারে। টিউমারের চারপাশেও দেখা দিতে পারে ব্যথা। অবশ্য ব্রেস্ট ক্যান্সারে তৈরি হওয়ার টিউমারে ব্যথা নাও হতে পারে।
9 / 11
ক্যান্সার ছড়াতে শুরু করলেও শরীরের নানা জায়গায় ব্যথার উদ্রেক ঘটতে পারে। অতএব শরীর কোনও ব্যথার উদ্রেক ঘটলে ও ব্যথার উৎস ঠিক কোন জায়গা তা বুঝতে না পারলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
10 / 11
৫) ত্বকে পরিবর্তন: আমাদের ত্বকই হল শরীরের সবচাইতে বৃহৎ অঙ্গ। আর আমাদের দেহের অভ্যন্তরে কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে কি না তা দেখার একমাত্র জানলাও ত্বক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জন্ডিসের অন্যতম লক্ষণ হল ত্বকের রং হলুদ হয়ে যাওয়া। আবার জন্ডিস হতে পারে ক্যান্সারের কারণেও। তাই ত্বকের দিকে নজর রাখুন। জন্ডিসের লক্ষণ দেখা গেলে সতর্ক হন।
11 / 11
ত্বকে কোনও তিলের আকার বড় হতে থাকলে সতর্ক হন। শরীরে হঠাৎ করেই একাধিক তিল তৈরি হতে শুরু করলেও সাবধান হন। বিশেষ করে তিলের আকার বিসদৃশ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পারমর্শ নিতে হবে।