করোনা পরবর্তী সময়ে সবাই জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার উপর। সুস্থ থাকতে ভরসা রাখছেন সুপারফুডের উপর। এমনই একটি সুপারফুড হল কুমড়োর বীজ। মধ্যবিত্তের পাতে কুমড়োর তরকারি থাকলেও কুমড়োর বীজ কমই খান। কিন্তু আজকে কুমড়োর বীজের উপকারিতা জানলে আজ থেকেই ব্যবহার করবেন।
কুমড়োর বীজের মধ্যে ভিটামিন বি, সি, ই এবং কে রয়েছে। সায়েন্স ডাইরেক্টের মতে, কুমড়োর বীজের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি কলোরেক্টাল ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর দিতে হয়। ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের মতে ডায়াবেটিস রোগীরা কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। এই বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ, কাজের চিন্তা ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে তোলে অনিদ্রার সমস্যা। এতে শরীরেও বাড়ে নানা অসুখ। অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ গ্রাম কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। এতে ঘুম উন্নত হবে।
ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের মতে কুমড়োর বীজের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কুমড়োর বীজ উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
কুমড়োর তরকারি বানিয়ে খেলেও কুমড়োর বীজ কীভাবে খাওয়া যায় অনেকেই হয়তো জানেন না। যে কোনও স্মুদির উপর কুমড়োর বীজ ছড়িয়ে পান করতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি টক দইয়ের সঙ্গে কুমড়োর বীজ মিশিয়ে খান কিংবা যে কোনও স্যালাদে যোগ করতে পারেন কুমড়োর বীজকে।