শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে গাঁটে ব্যথা, কিডনিতে সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে তখন ওষুধের সাহায্য নিতে হবে। এছাড়াও বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে লেবু ভীষণ কার্যকর। লেবুর মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে ইউরিক অ্যাসিড কমানোর পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলে।
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে পায়ের বড়ো আঙুল ফুলে যায়, ব্যথা হয়। এই সমস্যায় আপনি হলুদ খেতে পারেন। এই মশলার মধ্যে প্রদাহ-বিরোধী উপাদান রয়েছে। এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ব্যথা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটা করে আপেল রাখুন। আপেলের মধ্যে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই শীতকালীন ফল হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে বলে প্রোটিন-যুক্ত খাবার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন? এই ভুল একদম নয়। বরং প্রাণীজ প্রোটিনের বদলে আপনি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেতে পারেন। যেমন ডাল, দানাশস্য ইত্যাদি।
দুগ্ধজাত খাবারেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর জন্য আপনি টক দই, দুধ, পনির, ছানা ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ‘ফুল ক্রিম’ বা ‘ফুল ফ্যাট’ যুক্ত দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।