প্রথমে আমলকিগুলি ভাল করে ধুয়ে দাগ বরাবর কেটে টুকরো-টুকরো করে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে জলে তেঁতুল ভিজিয়ে বীজগুলো ছাড়িয়ে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, মেথি গুঁড়ো ও পরিমাণ মতো নুন মিশিয়ে একটা মন্ড বানিয়ে নিন
বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করা হলেও অনেকের প্রিয় আচার হল আমের আচার। কাঁচা আম কেটে তাতে বিভিন্ন মসলা, নুন, লঙ্কার গুঁড়ো ও তেল যোগ করে আমের আচার তৈরি করা হয়। অনেকে এই দেশি বা বাঙালি আচারকে তৈলাক্ত বা মশালাদার বলে মনে করেন, অস্বাস্থ্যকরও বলেন অনেকে।
প্রথমে লঙ্কাগুলি ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর বেশ পাতলা-পাতলা করে কাটুন। এবার একটি সসপ্যানে ভিনিগার, চিনি, রসুন, সাদা জিরে ও ২ কোয়া রসুন দিয়ে ফোটান
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সীমিত পরিমাণে আমের আচার রাখলে ত্বক, স্নায়ুর কার্যকারিতা, চোখ, মাংসপেশি সব থাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক। তাই কাঁটা আমের আচার স্বাস্থ্যের জন্য কী কী উপকারে লাগে, তা অনেকের কাছে অজানা।
অনেকেই আমের আচার তৈরি করে রাখেন এবং দীর্ঘদিন ধরে খান। আম ছাড়াও আমলকিও গ্রীষ্মেই পাওয়া যায়। লঙ্কা কিংবা রসুনের আচার সারাবছর করা যায়। তবে অনেকেই এগুলি পছন্দ করেন না। তাই এবার বাড়িতেই বানিয়ে নিন অল সিজন সবজির আচার
আমের আচার হজম শক্তিকে সুস্থ রাখে। সরষে, হিং, মেথি দানার মতো মশলা, যা পেটের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। এই মশলাগুলি হজম প্রক্রিয়া ও এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে তুলতে সাহায্য করে। হজমের উন্নতি করতে সক্ষম। কাঁচা আমে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মিটে যায় রাতারাতি।
এবার সব মশলা ঠান্ডা করে একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিন। এটাই আচারের মশলা। একেবারে মিহি গুঁড়ো করবেন না। এবার ওই গুঁড়ো মশলার মধ্যে হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ও কালো জিরে মিশিয়ে নিন
এছাড়া আমের আচার রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মেথি বীজের গুণের জেরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস রোগীরা সীমিত পরিমাণে আমের আচার খেতে পারেন। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে, স্বাভাবিকই থাকে।
গরম থেকে বর্ষার সময় শেষ পাতে টক ছাড়া চলে না। গরমে আমের আচার দারুণ চলে। আমের বদলে আমলকির আচার চেখে দেখতে পারেন, দারুণ সুস্বাদু
হৃদরোগ থেকে সুস্থ থাকতে আমের আচারও রোজ খেতে পারেন। তাই কাঁটা আমের আচার হার্টের জন্য দারুণ ভালো। আম ও মশলায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমায়। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে।এছাড়া আমের আচারে রয়েছে পটাশিয়াম। এই গুণের কারণে রক্তচাপের মাত্রাও বজায় রাখতে কার্যকর।আমের আচারে লবণের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, তাই পরিমাণ মত খাওয়াই মঙ্গলের।