
কোনারকের সূর্য মন্দির: ত্রয়োদশ শতাব্দীর এই কোনারক সূর্য মন্দিরটি সূর্য দেবতার প্রতি উৎসর্গীকৃত। কলিঙ্গ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত এই মন্দিরটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, যেখানে সূর্যদেবতা ২৪টি চাকার রথের উপর বসে আছেন। এটি ওড়িশার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন স্থানগুলির মধ্যে একটি।

কৈলাস: ভারতের অন্যতম আকর্ষণীয় এবং প্রাচীন মন্দির মহারাষ্ট্রের ইলোরার কৈলাস মন্দির। এটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের ইলোরা গুহার ১৬ টি গুহায় অবস্থিত কৈলাস মন্দিরটি ৭৬০ খ্রীস্টীয় রাজা প্রথম কৃষ্ণ তৈরি করেছিলেন শিবের জন্য।

তুঙ্গনাথ: ৩,৬৮০ মিটার উচ্চতায় দাঁড়িয়ে তুঙ্গনাথ মন্দিরটি বিশ্বের সর্বোচ্চ শিব মন্দির এবং ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি মধ্যমহেশ্বর, কেদারনাথ, রুদ্রনাথ এবং কল্পেশ্বর পঞ্চকেদার মন্দিরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

দিলওয়ারা মন্দির: একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত এই জৈন মন্দিরগুলি রাজস্থানের মাউন্ট আবু থেকে প্রায় ২.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে একসঙ্গে পাঁচটি মন্দির রয়েছে, যার মধ্যের প্রাচীনতম মন্দিরটি হল বিমল ভাসাহি মন্দির, যেটি ১০৩২ সালে নির্মিত হয়েছিল।

হাম্পির বিরূপক্ষ মন্দির: হাম্পির অংশ বিরূপক্ষ মন্দিরটি শিবকে উৎসর্গীকৃত। হাম্পি একসময় চতুর্দশ শতাব্দীতে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল, এবং আজ আপনি এখানে ১,৬০০ টিরও বেশি কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ প্রত্যক্ষ করতে পারেন যা ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে রয়েছে।

মহাবলিপুরম মন্দির: উনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মহাবলিপুরম মন্দিরগুলি। তামিলনাড়ুর এই মন্দিরগুলি সপ্তম ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে পল্লব রাজারা নির্মাণ করেছিলেন। এখানে প্রায় প্রায় ৪০টি স্মৃতিস্তম্ভ এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে।