মাস্টারবেশন শব্দটি শুনলেই মনের মধ্যে প্রথমেই এসে জড়ো হয় একরাশ প্রশ্ন। শরীরের জন্য তা ভাল নাকি খারাপ এই বিটারে না গিয়ে অধিকাংশই কৌতূহলের বশে তির্যক মন্তব্য করে বসেন। প্রয়োজনে ছেলেরা হস্তমৈথুন করতে পারেন কিন্তু মেয়েদের আবার এসবের প্রয়োজন কি?
অধিকাংশ স্কুলে এখনও যৌনশিক্ষা বা সেক্স এডুকেশন বিশেষ ভাবে দেওয়া হয় না। ফলে শরীর এবং যৌনতা বিষয়ে একাধিক ভুল ধারণা ছোট থেকেই মনের মধ্যে গেঁথে থাকে। যে কারণে মেয়েদের পিরিয়ড বিষয়টি নিয়ে ছেলেদের মধ্যে এত কৌতূহল। মাস্টারবেশন যে আর পাঁচটা সাধারণ বিষয়ের মতই জীবনের সঙ্গে জড়িত তা মানতে চান না অনেকেই।
যৌনতা, মাসিকের মতই হস্তমৈথুন মেয়েদের খুব সাধারণ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। অনেকে বিষয়টি মেনে নেন আবার অনেকে তা মানতে পারেন না। তবে সবার চাহিদা একরকম নয়। যাঁদের যৌন চাহিদা বেশি তাঁরাই এর দিকে বেশি ঝোঁকেন।
মাধেমধ্যে মাস্টারবেশনে কোনও ক্ষতি নেই। তবে তা যদি রোজকারের অভ্যাস হয়ে ওঠে তখনই চিন্তার। মাস্টারবেশন মহিলাদের আত্মতৃপ্ত করে। ফলে ঘুম ভাল হয়, স্ট্রেস কমে।
এই মাস্টারবেশন আর অর্গ্যাজমের মধ্যে কিন্তু কোনও মিল নেই। দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতি। অর্গ্যাজম সম্পূর্ণ অন্য বিষয় এবং তার তৃপ্তিও আলাদা।
মেয়েরা যদি মাস্টারবেশন করেন তাহলে পিরিয়ডের সময় ক্র্যাম্প কম হয়। পেলভিক অঞ্চলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। ফলে ব্যথা কম হয়। এছাড়াও মেয়েদের শরীর ও মনের চাহিদা বাড়ে।
তাই বলে অতিরিক্ত মাস্টারবেট কখনই নয়। এতে যৌন জীবনের উপর প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত শক্তিক্ষয় হয় বলে অন্য কাজেও তার প্রভাব পড়ে। তাই বুঝে করুন।