
প্রাচীনকাল থেকে রূপচরচায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে হলুদ। ত্বকের জেল্লা ফেরাতে এই উপাদানের গুণ কম নয়। আজও ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চায় অনেকেই হলুদের তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। কিন্তু এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন যে দীর্ঘদিন ধরে রূপচর্চায় হলুদ ব্যবহার করলেও কোনও উপকার পান না। এর কারণ কী হতে পারে?

দই আর হলুদের ফেসপ্যাক হোক বা হলুদ আর নিমের সংমিশ্রণ- এই ধরনের ঘরোয়া রূপটানের সংখ্যাটাই বেশি। এতে কাজও দেয়। ব্রণ কমে, ত্বক উজ্জ্বল হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই 'সংমিশ্রণ' ভুল হয়ে যায়। অর্থাৎ হলুদের সঙ্গে এমন কিছু উপাদান মিশিয়ে ফেলেন, যার ফর্মুলা ত্বকে কোনও কাজ করে না। এই ক্ষেত্রে ফেসপ্যাকে কোন কোন উপাদান ব্যবহার করছেন, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার।

কিছু কিছু মানুষের ধারণা যে অনেকক্ষণ ধরে মুখে ফেসপ্যাক রেখে দিলে, তার প্রভাবও বেশি পড়বে। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। বিশেষত হলুদের ক্ষেত্রে এটা হিতে বিপরীত হয়ে যায়। হলুদের নিজস্ব একটা রঙ রয়েছে। ২০-৩০ মিনিটের বেশি ত্বকে হলুদের ফেসপ্যাক রেখে দিলে, ত্বকের হলদেটে হালকা দাগ পড়ে। তাই এই ভুল কাজ করবেন না।

এক চিমটে হলুদ দিয়েই ফেসপ্যাক তৈরি হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে অনেকেই এক চামচ পর্যন্ত হলুদ নেন। বেশি পরিমাণে এই উপাদানের ব্যবহার ত্বকে জ্বালাভাব সৃষ্টি করতে পারে। একই ভাবে হলুদের ফেসপ্যাক লাগানোর পর মুখ ভাল করে না ধুলেও জ্বালাভাবের সমস্যা থেকে যাবে। তাই হলুদের ফেসপ্যাক লাগানোর পর ভাল ভাবে মুখ ধুয়ে নিন।

মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। ফেসপ্যাক তোলার সময় কোনও সাবান ব্যবহার করবেন না। এমনকি ফেসপ্যাক লাগানোর ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত মুখে ফেসওয়াশ ব্যবহার না করাই ভাল। তবেই হলুদ তার কাজ দেখাবে। এছাড়া মুখে কোনওদিনই ক্ষার-যুক্ত ফেসওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করবেন না।

একই দিকে সমান ভাবে ফেসপ্যাক লাগানো জরুরি। বিশেষত যখন আপনি পিগমেনটেশনের সমস্যার জন্য হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে, সমান ভাবে একই দিকে হলুদের ফেসপ্যাক না লাগালে ছোপ ছোপ হয়ে থাকতে পারে। এই বিষয়টি ফেসপ্যাক লাগানোর সময় মনে রাখুন। এছাড়াও সব সময় আপার স্ট্রোকে ফেসপ্যাক লাগাবেন, সেটা যেমনই ফেসপ্যাক হোক না কেন। এতে বার্ধক্যের লক্ষণ প্রতিরোধ করা যায়।