Nutritious Foods: দাঁত না থাকায় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারছেন না! বয়স্কদের জন্য রইল ৫টি সুপার ফুডের হদিশ
দাঁত না থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারগুলির সঙ্গে আপোস করতে হবে,তাহলে ভুল ভাবছেন। এমন কিছু স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিতে ভরপুর খাবার আছে, যা বয়স্কদের জন্য একেবারে নিরাপদ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের বিভিন্ন অংশগুলি ভঙুর হতে থাকে। তার মধ্যে দাঁত হল অন্যতম। এদিকে দাঁত না থাকার কারণে প্রবীণদের শরীরে পুষ্টির চাহিগা মেটানো কঠিন হয়ে পড়ে। সঙ্গে রয়েছে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের নানান চ্যালেঞ্জ।
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দাঁত হারানো। তবে যদি ভেবে থাকেন, দাঁত না থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারগুলির সঙ্গে আপোস করতে হবে,তাহলে ভুল ভাবছেন। এমন কিছু স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিতে ভরপুর খাবার আছে, যা বয়স্কদের জন্য একেবারে নিরাপদ।
স্ক্র্যাবলড এগ- বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ডিমের কদর তেমন নেই। কিন্তু ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন। যা পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, কোলিন এবং সেলেনিয়াম।
স্মুদিজ- যেমন দুরন্ত দেখতে তেমন তার পুষ্টি। স্বাদে অনন্য। বয়স্কদের জন্য পুষ্টির বিকল্প হিসেবে শাক-সবজি বা ফল দিয়ে তৈরি স্মুদি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। দাঁত না থাকার জন্য ফল বা সবজি চিবিয়ে খাওয়া অসম্ভব। স্ট্রবেরি ও পালং শাক জাতীয় ফল ও সবজির স্মুদি তৈরি করতে পারেন। পারলে এতে প্রোটিন পাউডার যোগ করতে পারেন।
ওটসমিল- চটপট তৈরি করতে এই পুষ্টিকর খাবারের কোনও বিকল্প নেই। ব্রেকফাস্টের জন্য অনেকেই ওটমিল খেতে পছন্দ করেন। প্রোটিনের পাশাপাশি এতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই ডিশ আরও স্বাস্থ্যকর করতে কুলতে কিসমিস,কলা, বাদাম যোগ করতে পারেন।
দই- এটি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং পটাসিয়ামের একটি বড় উৎস। এতে প্রোবায়োটিক থাকার কারণে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে পারে। এছাড়া ভাইরাস-জনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ছানা- পনির বা ছানা একটি সুপার স্বাস্থ্যকর খাবার। একজন প্রবীণের ডায়েট চার্টে ছানা বা পনির থাকা উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন তো থাকেই, ক্যালসিয়ামের পরিমাণও রয়েছে অনেক। এছাড়া পনির রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।