শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মূলত বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, দানাশস্যের মধ্যে থাকে এই উপাদান। হার্ট ভাল রাখা থেকে শুরু করে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ সবেতেই কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মূলত তিন রকমের হয়, যথা- এএলএ (ALA), ইপিএ (EPA) এবং ডিএইচএ (DHA)। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। অবসাদ, মন খারাপ দূরে রাখতে এবং চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রয়েছে এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের।
স্যালমন মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। একটুকরো স্যালমন মাছ থেকে পাওয়া যায় ১.৮ গ্রাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
আখরোটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। থাকে ভিটামিন, মিনারেল। থাকে ফাইবার, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেশিয়াম। চারটে আখরোট থেকে ২.৬ গ্রাম অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায়।
চিয়া সিডসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়াও থাকে ফাইবার। ওটসের স্মুদি বানিয়ে তার মধ্যেও দিতে পারেন চিয়া সিডস। অথবা গরম জলে আদা থেঁতো করে দিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে তাতেও মেশাতে পারেন। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন আর জিঙ্কও পাওয়াযায় এখান থেকে।
সোয়াবিনের মধ্যে যে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড থাকে তাই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হিসেবে পরিচিত। উদ্ভিজ প্রোটিনের মধ্যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস হল এই সোয়াবিন। প্রতিদিন প্রোটিন চাহিদা মেটাতে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত সোয়াবিন খাওয়া যেতে পারে।