হিংসা বা ঈর্ষা মোটেই শরীরের জন্য ভাল নয়। বরং তা মনের মধ্যে নেগেটিভিটি বাড়িয়ে তোলে। শরীর খারাপ করে। কিন্তু অনেকেই তা বোঝেন না। আর তাই না বুঝেই বন্ধুর ভাল শাড়ি দেখলেও যেমন হিংসে করেন তেমনই বন্ধুর বয়ফ্রেন্ড ভাল চাকরি করলেও রাগে তেলেবেগুনে জ্বলে যান। কিন্তু মুখে এমন ভাবটি রাখেন যাতে আপনি কিছু ধরতেই পারবেন না। মনে হবে বন্ধু আপনাকে কত ভালবাসে। তবে মানুষ ঠেকেই শেখে। আর তাই চোখ-নাক খোলা রাখলে বন্ধুর চাতুরি আপনিও ধরতে পারবেন। বন্ধু আপনাকে হিংসে করছেন বলেই যে আপনিও হিংসে করবেন তা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং ঠান্ডা মাথায় বন্ধুকে উপযুক্ত জবাব দিন
ধরা যাক, বন্ধুকে আপনি খুবই ভালবাসেন। এবার সেই বন্ধু যখন আপনাকে হিংসে করছে তা শুনে আপনার খারাপই লাগল। কিন্তু সেই মুহূর্তে আপনি যদি রাগের মাথায় কিছু বলে দেন তাহলে সম্পর্কের সেখানেই ইতি। আর তাই আবেগ দিয়ে না ভেবে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন।
তুলনা করলে ঝামেলা বাড়ে। আর তাই বন্ধুর ত্রুটি কি কি রয়েছে তা না দেখে কী ভাবে আপনি তাকে আপনার উপযুক্ত করে তুলতে পারবেন সেই চেষ্টাই করুন। কেন আপনার বন্ধু আপনাকে পছন্দ করছেন না সেই কারণও খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
আবেগ দিয়ে কোনও কিছু চলে না। আর তাই সব সময় যুক্তি দিয়ে ভাবুন। যুক্তি, বিবেচনায় যদি আপনার মনে হয় যে আপনি ঠিক কাজ করছেন তাহলে সেই দিকেই এগিয়ে যান। অহেতুক ঝামেলা না বাড়ানোই শ্রেয়। বরং অন্যের ক্ষতি করার কথা ভাবলে নিজেরই ক্ষতি হয়।
আপনার যে বিষয় নিয়ে বন্ধু হিংসে করেন তা নিয়ে অন্যের সঙ্গে কথা না বলে বন্ধুর সঙ্গেই সরাসরি কথা বলুন। এতে দুজনেই মনের দিক থেকে পরিষ্কার থাকতে পারবেন। কারোর দিক থেকে কোনও সমস্যা থাকবেন না।