২৪ শে সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট বা গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক ডে ছিল। শহীদ মিনারের পাদদেশে ২০টিরও বেশি পরিবেশ সচেতনতা সংস্থা জড়ো হয় পরিবেশকে বাঁচানোর ডাকে।
সংগঠন গুলির মতে মুনাফা ভিত্তিক ভোগবাদী বিশ্ব ব্যবস্থা প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশের উপর দীর্ঘকাল ধরে যে নির্বিচার আঘাত নামিয়ে এনেছে, বিশ্বায়ন পরবর্তী পৃথিবীতে তা তীব্রতার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং উপড়ে ফেলার রাস্তায় না যেতে পারলে ধ্বংস অনিবার্য।
শহীদ মিনারের অনুষ্ঠানের পুরোভাগে ছিলেন ছাত্র ছাত্রীরা। গ্রেটা থানবার্গের ফ্রাইডেজ ফর ফিউচারের পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের সদস্যরা সমস্যা গুলো তুলে ধরার পাশাপাশি পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবের প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বর্তমান প্রজন্মের পরিবেশ আন্দোলনকর্মীরা বলেন - পরিবেশের ক্ষত নিরাময়ে বিশ্বের কোথাও রাষ্ট্রের সদর্থক ভূমিকা অনুপস্থিত, বরং এই ব্যবস্থাকে টিঁকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রতন্ত্র তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু সংকট ভূ-রাজনৈতিক সীমানায় আবদ্ধ নয়। এর পাশাপাশি তাঁরা সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেন গানে আর গিটারে।
নির্মল ও অবিরল গঙ্গা আন্দোলনের মত জাতীয় ইস্যুর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীক দাবিদাওয়াও উঠে আসে। সুন্দরবন,অশোকনগর ও যশোর রোড,দেওচা পাঁচামি,ঠুরগা জলপ্রপাত ,চড়িয়াল খাল,ডুমুরজলা স্টেডিয়াম, সাঁতরাগাছি ঝিল সহ উত্তরবঙ্গের পরিবেশ বিপন্নতা এবং তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলন স্থান পায় এই জলবায়ু ধর্মঘটে।
টিচার্স ফর ফিউচারের প্রতিনিধিরা বলেন সমতা না থাকলে পৃথিবী বাঁচবে না। দুটি প্রজন্মের মধ্যে, ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে, বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমতা প্রয়োজন, দরকার লিঙ্গ বৈষম্যের দূরীকরণ। এই বৈষম্য দূর না হলে ক্লাইমেট জাস্টিস পাওয়া যাবে না।