বাদামে রয়েছে অনেক গুণ। চুল এবং ত্বকের পরিচর্যার পাশাপাশি শরীরে ভরপুর পুষ্টি জোগানো- সব ক্ষেত্রেই আমন্ড বা বাদাম কিন্তু ১০০ তে ১০০। তাই রোজ সকালে দুটো করে বাদাম আপনি খেতেই পারেন। আগের দিনে রাতে জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন বাদাম। এর ফলে আমন্ডের খোসা নরম হয়ে যায়। তাই চাইলে আপনি খোসা ছাড়িয়েও বাদাম বা আমন্ড খেতে পারবেন। কিন্তু কেন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুটো বাদাম খাবেন? আমন্ড খেলে ঠিক কী কী ভাবে উপকৃত হবেন আপনি? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আমন্ড অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। তাই সহজে খিদে পায় না। ফলে ঘনঘন খিদে না পাওয়া বেহিসেবি খাওয়াদাওয়াও হবে না। এর ফলে আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমবে না। আমন্ডের মধ্যে ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেলস এবং মানবশরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণই রয়েছে। ফলে আমন্ড বা বাদাম খেলে আপনি সু-স্বাস্থ্যের অধিকারি হবেন।
বাচ্চাদের এবং বিশেষ করে যাঁরা পড়াশোনা, গবেষণা এ জাতীয় কাজে যুক্ত- অর্থাৎ যে সমস্ত কাজে খুব বেশি মাথা খাটাতে হয়, তাঁরা অতি অবশ্যই প্রতিদিন দুটো করে বাদাম খাবেন। মূলত সকালের দিকে খালি পেটে জলে ভেজানো দুটো আমন্ড খেলেই উপকার পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। এর ফলে মস্তিষ্ক উর্বর হয়।
ত্বকের যত্নে এবং চুলের পরিচর্যায় আমন্ড অয়েল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রুক্ষ ত্বকের সমস্যা থাকলে তার সমাধানে আমন্ড অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এছাড়া চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চুল পড়া এবং ডগা ফাটার সমস্যা দূর, চুল এবং ত্বকের মোলায়েম ও জেল্লা ভাব ফেরানো সবেতেই সাহায্য করে আমন্ড অয়েল।
আমন্ড মিল্ক লো ক্যালোরি অথচ পুষ্টিকর খাবার। অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। তাছাড়া ভিটামিনে ভরপুর। অর্থাৎ আপনার শরীরে কোনও কিছুর ঘাটতি হতে দেবে না এই বাদাম মেশানো দুধ বা আমন্ড মিল্ক। তাই বাড়ির বাচ্চাদের দিনে একবার আমন্ড মিল্ক খাওয়ালে উপকারই হবে।
ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল, হার্টের রোগ- সবক্ষেত্রেই সহায়ক হল বাদাম বা আমন্ড। আপনার রকে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে, হার্টের সমস্যা যেমন- স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের এসবের প্রবণতা কমাতে এবং কোলেস্টেরল সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে সাহায্য করে আমন্ড।
আমন্ড বা বাদামে থাকে ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সবক'টি উপকরণই সু-স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। তাই প্রতিদিন বাদাম বা আমন্ড খাওয়া সব বয়সের মানুষদের জন্যই যথেষ্ট উপকারি।