সায়ম কৃষ্ণ দেব
Aug 06, 2024 | 12:55 PM
ইউরিকের অ্যাসিডের সমস্যায় জেরবার গোটা বিশ্ব। সমীক্ষা বলছে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ এখন এই ইউরিকের সমস্যায় জর্জরিত।
সারা শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হাত-পা ফুলে যাওয়া। আঙুল মুড়তে না পারা, ঝামেলার শেষ নেই। তার সঙ্গে অনেকেই বলেন ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই বন্ধ টমেটো থেকে মুসুড় ডালের মতো একাধিক খাবার।
কিন্তু সত্যিই কি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে মুক্তি মিলবে সমস্যা থেকে? না। তার সঙ্গে মেনে চলতে বেশ কিছু নিয়ম। আর তার সঙ্গে খেয়ে দেখুন এই ৫ খাবার। তাতে অচিরেই কমতে পারে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সমস্যা।
কাঁচা হলুদ দেহের অস্থিসন্ধিতে অ্যাসিড জমার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এবং কারকিউমিন। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দূরে রাখতে এই দুই উপাদান বেশ কার্যকরী।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ উপকারী জিরে বা ধনে ভেজানো জল। এক গ্লাস জলে এক থেকে দুই চামচ গোটা ধনে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে সেই জল পান করুন। শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং ক্যালোরি পোড়াতেও উপকারি এই জল।
মেথিতে আছে ভিটামিন কে, থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড,রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি ৬। রয়েছে কপার, পটাশিয়ামের মতো আরও নানা খনিজ উপাদান। গাঁটের ব্যথা কম করতে, ওজন কমাতে, বাড়তি মেদ ঝরাতে, হজমক্ষমতা বাড়াতে, ডায়াবেটিসে দারুণ উপকারী মেথি। এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে, সকালে ছেঁকে নিয়ে সেই জল পান করতে পারেন।
ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে খুব উপকারী। আমলকির রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। হালকা গরম জলে এক চামচ আমলকির রস মিশিয়ে খেতেই পারেন।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হালকা গরম জলে এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিয়ে সেই জল খেতে পারেন। ওজন ঝরাতে এই পানীয় বেশ উপকারী।