
পুজোর আগে ওজন কমাতে হবে। এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে অনেক বাঙালির। তাছাড়া বাড়তি ওজন যে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়, সেটাও বুঝছেন অনেকে। খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রেখে, নিয়মিত ওয়ার্কআউট করে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু ওজন মেশিনের কাঁটা সরছে?

ওজন কমানোর জন্য নানা ধরনের টোটকা ট্রাই করেন। বাস্তবে তা দরকার পড়ে না। সময়মতো খাবার খেয়ে এবং শরীরচর্চা করলেই ফিট থাকা যায়। তার সঙ্গে যদি নিয়ম মেনে কফি খান, আর কেউ আটকাতে পারবে না আপনার ছিপছিপে চেহারায় ফেরা থেকে।

কফি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না খারাপ তা নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। তবে, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সঠিক সময়ে ও নির্দিষ্ট পরিমাণে কফি খেলে ওজন কমানো সম্ভব। তার সঙ্গে হৃদরোগের সমস্যা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি এড়ানোও সম্ভব হয়।

বস্টনের ‘হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আপনি যদি চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খান তাহলে ওজন বাড়বে না। আপনি যদি কফিতে চিনি, দুধ, ক্রিম, ক্যারামেল ইত্যাদি দিয়ে খান, তাহলে কোনও লাভই পাবেন না।

কফির মধ্যে ক্যাফেইন নামের যৌগ পাওয়া যায়, যা একটি প্রাকৃতিক উদ্দীপক এবং এটি বিপাকীয় হার বাড়াতে সাহায্য করে। এই যৌগটি দেহে অত্যধিক পরিমাণে অ্যাড্রেনালিন বা এপিনেফ্রিন হরমোন উৎপন্ন করে।

এই অ্যাড্রেনালিন হরমোন আপনাকে অত্যধিক কাজ করার জন্য এনার্জি জোগায়। আবার এই হরমোন শরীরে জমে থাকা চর্বিকে ভাঙতে সাহায্য করে এবং এগুলোই কাজ করার সময় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।

কফি ইনসুলিন হরমোনের সংবেদশীলতা উন্নত করে। ডায়াবেটিসে রোগীরা কফি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ওজনও বাড়বে না। এছাড়া বিপাকীয় হার বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে কফি।

ওজন কমানোর জন্য দিনে ৩-৪ কাপ কফি খেতে পারেন। কিন্তু তাতে কোনও মিষ্টি বা চিনি মেশানো চলবে না। এমনকি দুধ, ক্রিম, ফ্লেভার যোগ করবেন না। সকালে খালি পেটে এবং বিকালের পর কফি খাওয়া চলবে না। এই নিয়ম মানলেই কফি খেয়ে ওজন কমাতে পারবেন।