
সন্ধেবেলা এক কাপ চা সারাদিনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে পারে। মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে চা। আবার চা খেয়ে আপনি ওজনও কমিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু সঠিক উপায়ে চা খাওয়া দরকার।

সাধারণ দুধ, চিনি দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া হয়। এই চা চপ-মুড়ির সঙ্গে আড্ডা দিতে-দিতে খেতে ভাল লাগতে পারে। কিন্তু যখনই আপনি ওজন কমানোর জন্য কিংবা স্বাস্থ্যকে উন্নত করার জন্য চা পান করেন, তখন মানতে হবে কিছু নিয়ম।

চায়ে যদি ফুল ফ্যাট দুধ বা ফুল ক্রিম দুধ ব্যবহার করেন, চলবে না। এতে ক্যালোরির মাত্রা অনেক বেশি থাকে। দুধ দিয়ে চা খেতে হলে স্কিমড মিল্ক বা মাটা-তোলা দুধ ব্যবহার করুন। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি দুধ ছাড়াই চা পান করেন।

চা মিষ্টি না হলে চলে না? কিন্তু ওজন কমাতে গেলে চায়ে চিনি মেশানো চলবে না। ১ চামচ চিনিতে ৪৮ ক্যালোরি থাকে। এটি ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি আপনার মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

ওজন কমাতে গেলে যে কোনও খাদ্যের পরিমাণের দিকে নজর দিতে হয়। দিনে ৫-৬ কাপ ভেষজ চা পান করলেই যে আপনার ওজন কমে যাবে, তা নয়। গ্রিন টি হোক বা ব্ল্যাক টি, দিনে দু'কাপের বেশি পান করা উচিত নয়।

চায়ের সঙ্গে পকোড়া, মুড়ি, চপ খেতে ভাল লাগলেও খাবেন না। বরং, চায়ের পুষ্টিগুণ পেতে ভারী খাবার ও চা খাওয়ার মাঝে ৩০ মিনিটের ব্যবধান রাখুন। এতে আপনার শরীর খাবার থেকে পুষ্টি শোষণে সক্ষম হবে।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুলেও চা পান করবেন না। এমনকী সন্ধের পর চা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে যেমন হজম স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে, তেমনই অনিদ্রার সমস্যা বাড়ে। পাশাপাশি দেখা দেয় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।

খালি পেটে চা খাওয়ার ভুল একদম নয়। অনেকের দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে। কিন্তু খালি পেটে চা খেলে ডায়জেস্টিভ সিস্টেম অ্যাসিডিটির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি চা খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ও পরে জল পান করবেন না। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।