
মজবুত হাড় গঠনে সাহায্য করে ক্যালশিয়াম। এই পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য দুধ অপরিহার্য। এমনকি দুধের তৈরি খাবার যেমন ছানা, পনিরেও ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়। তাই হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে দুধ খেতেই হবে।

আপনি যদি ল্যাকটোজ ইনটলার্যান্ট হন, দুধ খেলেই যদি ডায়ারিয়া, পেট ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়, তখন কি করবেন? ল্যাকটোজ ইনটলার্যান্ট হলে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়া চলবে না। তাহলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবেন কীভাবে?

দুধ না খেয়েও দেহে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা যায়। এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। দুধে সমস্যা থাকলে এই ৫ খাবার খান। এমনকি আপনি ল্যাকটোজ ইনটলার্যান্ট না হলেও সেগুলো খেতে পারেন।

হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কাঁচা গাজর ও পালংশাকের রস পান করুন। এই পানীয় শুধু যে ভিটামিনে ভরপুর, তা নয়। গাজর ও পালংশাকের জুস ক্যালশিয়ামে পরিপূর্ণ। ৩০০ গ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যায় এই জুসের মধ্যে।

রাজমা, কাবুলি চানা, ছোলার ডালের মতো একাধিক ডাল প্রোটিনে ভরপুর। ডালের মধ্যে প্রোটিন ছাড়াও ক্যালশিয়াম রয়েছে। ১০০ গ্রাম ডালের মধ্যে ২০০ গ্রাম ক্যালশিয়াম পাবেন।

তিলের দানার মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম রয়েছে। মাত্র ১০ গ্রাম তিলের দানার মধ্যে ১৪০ গ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়। রোজের ডায়েটে ২-৩ চামচ তিলের দানা রাখতে পারেন। এই খাবার ইমিউনিটি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।

পনির বা ছানা ক্যালশিয়ামে ভরপুর। কিন্তু এগুলো দুধের তৈরি। তাই খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে, আপনি তোফু খেতে পারেন। সোয়া দিয়ে তৈরি এই খাবারে আপনি ক্যালশিয়াম পাবেন। একইভাবে আপনি সোয়া মিল্ক, আমন্ড মিল্ক খেতে পারেন।

পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম পাবেন। এছাড়াও বাজারে যে সব শাক পাওয়া যায়, সেগুলো খেতে পারেন। এমনকি ব্রকোলি ও ঢ্যাঁড়শের মতো সবজিতে ভরপুর মাত্রায় ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়। তাই এই খাবারগুলো খাওয়া ছাড়বেন না।